সদ্যজাত কন্যাসন্তানকে খুন করে গ্রেফতার বাবা। পরপর দুই কন্যা সন্তান হওয়ায় সদ্যজাত দ্বিতীয় কন্যা সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলো বাবা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলায়। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ দিন বয়সের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানকে খুন করার অভিযোগে গত ১৮ অক্টোবর বাঁকুড়ার ছাতনা থানার তুলসা গ্রাম থেকে আশ্বিনাথ সোরেন নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশি জেরার মুখে আশ্বিনাথ নিজের কন্যা সন্তানকে খুনে কথা স্বীকার করে নেয়। পাশাপাশি গ্রামের অদূরে ধানজমি থেকে ওই কন্যা সন্তানের মৃতদেহও উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বছর চারেক আগে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার তুলসা গ্রামের আশ্বিনাথ সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয় পুরুলিয়ার ভাতুইকেন্দ গ্রামের সোহাগি সোরেনের। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সোহাগি।
সম্প্রতি সোহাগির দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্মের পরই শুরু হয় অশান্তি। আশ্বিনাথ দ্বিতীয় কন্যা সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য সোহাগির উপর চাপ তৈরী করতে থাকে। সোহাগি রাজি না হওয়ায় ৯ অক্টোবর সোহাগি যখন বাড়ির বাইরে ছিলেন সে সময় আশ্বিনাথ নিজের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানকে বাড়ি লাগোয়া একটি কুয়োয় ফেলে খুন করেন। পরে কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলে মৃতদেহটি কুয়ো থেকে তুলে প্লাস্টিকে মুড়ে গ্রাম থেকে দু কিলোমিটার দূরে একটি ধান জমির মধ্যে পুঁতে ফেলে।
আর ও পড়ুন হিমাচলে হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, কিন্নরে ট্রেক করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭ জন
এদিকে সোহাগি বাড়ি ফিরে এসে নিজের দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। সন্তান নিখোঁজের ঘটনা পুলিশকে জানানোর কথা বলতেই আশ্বিনাথ সোহাগিকে গৃহবন্দী করে ফেলে। পরে ১৭ অক্টোবর খবর পেয়ে সোহাগিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করেন বাপের বাড়ির লোকজন। ১৮ অক্টোবর সোহাগি সোরেন ছাতনা থানায় হাজির হয়ে স্বামী আশ্বিনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিশ আশ্বিনাথকে গ্রেফতার করে।