কোভিড কালে সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর আগে কোন বিষয়গুলির উপর অবশ্যই নজর রাখবেন । রাজ্যে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল–কলেজ। কিন্তু অভিভাবক সহ চিকিৎসকরা চিন্তিত। কারণ ১৮ বছরের উপরে এখনও যে টিকাকরণই শুরু হয়নি। আর এই অবস্থায় অসুস্থরত পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকের হাঁপানি, ডায়াবেটিস অথবা হার্টের অসুখ রয়েছে। এমন অবস্থায় সেই সব পড়ুয়াদের স্কুলে না পাঠানোরই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিতসকদের মতে, বয়স্ক এবং কোমর্বিডিটি আছে এমন লোকেদের জন্যেই ভয়ঙ্কর সার্স কোভ ২। এই কোমর্বিডিটির তালিকায় রয়েছে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিসের রোগীরা। রাজ্যের অসংখ্য কিশোর–কিশোরী আনুষঙ্গিক অসুস্থতা যেমন স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হাঁপানি বা ফুসফুসের সমস্যা, হার্টের জন্মগত ত্রুটি, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্ত ছাত্র–ছাত্রীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে। তাই তাদের আপাতত স্কুল–কলেজে না পাঠানোর কথাই বলছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে রাজ্বাযে ফের নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। স্কুল খোলার আগে তাই আগামী ১০ দিনের সংক্রমণের গতিপ্রকৃতির দিকে চোখ রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক করেছে আপাতত, নবম থেকে দ্বাদশ এবং কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে। স্কুলের প্রিন্সিপালরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যে নির্দেশ দেবে তা মেনে স্কুল খুলতে তাঁরা তৈরি। ইতিমধ্যেই একাধিক স্কুলে শ্রেণিকক্ষ স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। ক্লাসে মাস্ক, স্যানিটাইজার, শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক। অনেক স্কুলই সপ্তাহে তিনদিন করে পড়ুয়াদের এনে ক্লাস করানোর ভাবনাচিন্তা করছেন।
আর ও পড়ুন ত্রিপুরা ও গোয়াতে কটা আসন পাবে তৃণমূল? ভবিষ্যতবাণী করে দিলেন অনুব্রত
স্কুলে শারীরিক দূরত্ব মানতেই হবে। তাই সন্তানদের সবকিছু শিখিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অভিভাবক আর শিক্ষক–শিক্ষিকাদের। তবে শুধু স্কুল–কলেজ নয়, যাতায়াতের পরিবহণের মাধ্যমকেও নজরে রেখেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মতে, যে বাসে করে ছাত্র–ছাত্রীরা স্কুলে যাবে সে বাসের চালক, হেল্পারকে অবশ্যই টিকার দু’টি ডোজ নিয়ে রাখতে হবে। ভিড় বাস, ট্রেন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, কোভিড কালে সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর আগে কোন বিষয়গুলির উপর অবশ্যই নজর রাখবেন । রাজ্যে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল–কলেজ। কিন্তু অভিভাবক সহ চিকিৎসকরা চিন্তিত। কারণ ১৮ বছরের উপরে এখনও যে টিকাকরণই শুরু হয়নি। আর এই অবস্থায় অসুস্থরত পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। পড়ুয়াদের মধ্যে অনেকের হাঁপানি, ডায়াবেটিস অথবা হার্টের অসুখ রয়েছে। এমন অবস্থায় সেই সব পড়ুয়াদের স্কুলে না পাঠানোরই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।