সব্যসাচী প্রসঙ্গে কি বললেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ -এর তৃতীয়ার দিনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বছর দুয়েক কাটতেই নিজের পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন তাঁর।বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে বসে তৃণমূলে ফিরলেন বিধাননগরের প্রাপ্তন মেয়র।
কিন্তু একুশের ভোট মিটতেই তাঁর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা বাড়ছিল। বুধবার লখিমপুর ইস্যুতে তিনি যেভাবে দলের বিরোধিতা করেন, তাতে স্পষ্টতই বোঝা যায় তৃণমূলে আবার প্রত্যাবর্তন ঘটাতে চলেছেন তিনি। যদিও সব্যসাচীর ঘর ওয়াপসি কার্যত ছিল সময়ের অপেক্ষা। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সব্যসাচীর দলে ফেরার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেন।
তারপরেই বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘরে ফেরেন তিনি। এদিকে বিজেপির ঘর শূন্য করে চলে যাচ্ছে একের পর এক বিজেপি নেতা। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,”যত তাড়াতাড়ি চলে যায় ভালো হয় তাহলে সাফ হয়ে যায়।
আমরাও গুছিয়ে কাজ করতে পারি।” একের পর এক নেতা চলে যাওয়াকে রাজনীতির নিয়ম বলেই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য,”রাজনীতিতে আসা যাওয়া লেগেই থাকে।” এদিন দুর্গাপুজোয় হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,”ডবল ডোজ সবাই পায়নি। দূর থেকে সকলকে দেখতে দেওয়া উচিত। সকলে যাতে আনন্দ করতে পারে।”
আর ও পড়ুন নবমীতে হয়ে যাক স্পেশাল খাসির কোরমা, কীভাবে বনাবেন এই খাসির কোরমা?
লেকটানে সুজিত বসুর পুজোয় ইতিমধ্যেই মানুষের ঢল নেমেছে, এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য,”হাইকোর্ট রায় দিচ্ছেন কেউ মানছে না। মানুষকে ছাড় দেওয়া উচিত। সতর্কতা অবলম্বন করে যতটা করা উচিত ততটাই করুক।”
এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে বুধবার লখিমপুর ইস্যুতে তিনি দলের বিরোধিতা করেন, এদিন বাদ যায়নি শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের ড্রাগ প্রসঙ্গ। যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, শাহরুখ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই চাপের মুখে পড়তে হল শাহরুখ পুত্রকে। সেই গুজব উড়িয়ে দিয়ে দিলীপের বক্তব্য,”শিবসেনার সরকার পুলিশের হাতে। মুম্বই ছিল আগে ক্রাইম নগরী। সেটা যদি শিবসেনার হাত ধরে মুক্ত হয় সিনেমা জগতের মঙ্গল হবে।”