বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুরে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যে ছেলে ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।
পাশাপাশি এই ঘটনায় এলাকায় কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা ইন্ধন জুগিয়েছে বলে অভিযোগ। হামলা চালানোর পাশাপাশি বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সহ বাড়ির সদস্যদের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রামে। এই ঘটনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা ও তার পরিবার।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজ দাস হরিশ্চন্দ্রপুর মন্ডল ১-এর বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি। বুধবার রাতে হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যা শুখো দাসের ছেলে পুজন দাস এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি মনোজ দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। টালির চালের বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। বাধা দিতে গেলে বিজেপি নেতা সহ তার বাড়ির লোককে ব্যাপক মারধর করে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে পুজন দাস ও তার দলবল।
এদিকে ওই বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি মনোজ দাসের ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক গৃহবধূকে শ্রীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে পুজন দাস। তার অভিযোগ, ওই নেতা এলাকারই এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টে আমাদের উপর চড়াও হয় ওই বিজেপি নেতা। আমাদের দুই কর্মীর গাড়ি ভাঙচুর চালায়। এখন নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।
আর ও পড়ুন বিপুল পরিমাণ বেআইনি ফেনসিডিল উদ্ধার করলো মালদার বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ
এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। প্রশ্ন উঠেছে যাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো, উল্টে তাদেরই বাড়ির লোকদের পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার জেরে পুলিশে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে।
বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রুপেশ আগারওয়ালা জানিয়েছেন, তৃণমূল পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে ফেলেছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাই এখন আমাদের কর্মীদের ওপর বিনা কারণে হামলা চালাচ্ছে। আমাদের কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে এই হামলা চালিয়েছে স্থানীয় তৃণমূলীরা। আমরা চাইব পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।
অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু জানিয়েছেন, বিজেপির ওই নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। তাই এলাকার বাসিন্দারা ওনার বাড়ি আক্রমণ করেছিল। এর মধ্যে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। তবে গ্রামবাসী ওই নেতার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এটা ঠিক হয়নি। পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে।