মহিলা ডাক্তার নেই তাই সমস্ত বাধা পেরিয়ে মেয়েদের ডাক্তার করার স্বপ্ন দেখছেন বাবা

মহিলা ডাক্তার নেই তাই সমস্ত বাধা পেরিয়ে মেয়েদের ডাক্তার করার স্বপ্ন দেখছেন বাবা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

৭ ডিসেম্বর, মেয়ে হয়েও পড়াশোনা করার জন্য তালিবানদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছিল পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাইকে। তারপরও যদিও পড়াশোনা বন্ধ করেননি তিনি। এরকম আফগানিস্তানের সাহরানা এলাকায় বহু মেয়েকে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু তাঁর মধ্যেও নিজের মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন আফগানিস্তানের সাহরানা এলাকার বাসিন্দা মিয়া খান। নিজে অশিক্ষিত হয়েও মেয়েদের পড়াশোনার জন্য মৃত্যুভয়কেও অগ্রাহ্য করছেন তিনি। তালিবানি জঙ্গিদের দাপট কে এড়িয়ে রোজ বাইকে তিন মেয়েকে বসিয়ে ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে স্কুলে দিয়ে আসেন তিনি। আর স্কুল ছুটি হওয়া পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষা করে ফের তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। মিয়া খানের এই লড়াইয়ের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে।সাথে নেটিজেনদের হৃদয় জয় করেছেন তিনি, বহুজনের কাছে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আফগানিস্তানের সাহরানা এলাকায় বহু বছর ধরে তালিবানের দাপটে উত্তেজিত এলাকাবাসী। কিন্তু মায়েদের পড়ার খুবই ইচ্ছা আর সেই ইচ্ছাকে সমর্থন করলেন মা-বাবা।দিয়ে আসা নিয়ে আসা তিনি করেন সর্বদা।বর্তমানে এটাই রুটিন হয়ে গিয়েছে তাঁর। বাবার ইচ্ছা মেয়েরা ডাক্তার হবে, কারণ এলাকায় কোনো মহিলা ডাক্তার নেই। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালিয়েই তিনি তাঁর মেয়েদের ডাক্তার করে তুলবেন।

মিয়া খান আফগানিস্তানের সুইডিশ কমিটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি তারাই মিয়া খানের ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেন।তারপরই তা ভাইরাল হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top