অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় অশনির দাপটে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো ‘সোনার রথ’। ঘূর্ণিঝড় যে সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে যায় তাই নয়, মাঝে মাঝে মূল্যবান কিছু ফিরিয়েও দেয়। অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় অশনির দাপটে এবার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো একটি ‘সোনার রথ’। যদিও ঘূর্ণিঝড় অশনির আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। অভিমুখ বদলে দক্ষিণের এই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন অশনি। ইতিমধ্যেই অন্ধ্রের বিভিন্ন এলাকায় অশনির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই আবহে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এল সোনার রথের মতো দেখতে একটি কাঠামো।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সুন্নাপাল্লি উপকূল এলাকায় রথের আদলে ওই কাঠামোটি উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মায়ানমার, মালয়েশিয়া বা থাইল্যান্ড থেকে সমুদ্রের স্রোতে ভেসে এসেছে কাঠামোটি। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে ওই কাঠামোটি উদ্ধার করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে যেরকম গুম্ফা দেখা যায়, তার সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে এই কাঠামোটির। এদিকে, অশনি ঘিরে আতঙ্কের মধ্যেই সোনার রথের আদলে এই কাঠামো দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।
আর ও পড়ুন রামগঙ্গা নদী বাঁধ তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
অশিনির বাতাসের দাপটে উত্তাল হওয়া সমুদ্রের পাড়ে ভাসতে দেখা যায় একটি সোনালি রঙের রথ। রথটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণ সমুদ্রের পানিতে নেমে ছুটে চলে যান সেটির কাছে। রথটিকে টেনে সমুদ্রের পাড়েও তুলে আনেন তারা। প্রকৃতপক্ষে রথটি সোনার নির্মিত নয়, রথের গায়ের সোনালি রঙের প্রলেপেরে কারণেই হঠাৎ করে সেটিকে সোনার রথ মনে করে ফেলবেন অনেকে। সমুদ্রে ভেসে আসা এই রথ সম্পর্কে শ্রীকাকুলামের নাউপাড়া এলাকার দায়িত্বরত সাব ইন্সপেক্টর জানান, রথটির বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সম্ভবত এটি পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ থেকে সমুদ্রের জলে ভেসে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও খবর দিয়েছি।