ট্রেনের কামরা থেকে কোটি টাকার সোনা সমেত গ্রেপ্তার এক। কোটি টাকার বেআইনী সোনা সমেত গ্রেপ্তার হাওড়ার যুবক। ধৃতের নাম শেখ সৈইফুল রহেমান।কোটি টাকার বেআইনী সোনা পাচারের ছক হাতে এলেও কিং পিনেদের খোঁজে অনীহা কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গৌহাটি থেকে হাওড়াগামী স্পেশাল ট্রেনে ২কেজি ১৫৮গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করে পাচারকারী যুবককে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর। রেল পথকে ব্যবহার করেই গৌহাটি থেকে হাওড়াগামী স্পেশ্যাল ট্রেনে
১০নাম্বার কামরার ১৩নম্বর বার্থ এ নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন অবধি বেমালুক চলে আসে যুবক। তার ট্রাউজারের বিশেষ চেম্বার করে রাখাছিল ১৩টি সোনার বিস্কুট। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর মোতাবেক এদিন ৮.৩০-৯টা নাগাদ এনজেপিতে গৌহাটি থেকে হাওড়াগামী স্পেশ্যাল ট্রেনে এসে পৌঁছতেই কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের টিম অভিযান চালায়।
সন্দেহভাজন শেখ সৈফিকুলকে আটক করে তল্লাশী চালাতেই তার পরনে থাকা ট্রাউজার প্যান্ট এর পকেটের ভেতর সোনার বিস্কুট মজুদের জন্য তৈরি বিশেষ চেম্বার থেকে ১৩টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১কোটি ৮লক্ষ ১০৬টাকা। শিলিগুড়ি আদালতের কেন্দ্রীয় রাজস্ব দপ্তর পক্ষের আইনজীবী সৌভিক সেনগুপ্তা জানান বাজেয়াপ্ত হওয়ায় সোনার বিস্কুটেরগুলি বেআইনি বৈদেশিক সোনা। ইন্দো মায়ানমার সীমান্ত হয়ে সোনার বিস্কুট মনিপুর হয়ে আসামে আনা হয়।
এরপর পচারের ছক কষা রুট ধরে গৌহাটি হয়ে কলকাতায় পাচারের উদ্দেশ্যে হাওড়ার বাসিন্দারা এই যুবক গৌহাটি থেকে হাওড়া গামী স্পেশাল ট্রেনেকে হাতিয়ার করে। বারংবার মায়ানমার সীমান্ত থেকে বৈদশিক সোনা এনে কিংপিনেদের নির্দেশ মতো ভিন রাজ্য আসাম থেকে রেল পথকে হাতিয়ার করে শিলিগাড়িকে করিডর ধরে কলকাতা মুম্বাই সোনা পাচারের পরিকল্পনাকে আঞ্জাম দিতে এটি সহযত রুট হয়ে উঠেছে পাচারকারীদের। তবে এবারে পুলিশ প্রশাসনের নজরে এড়াতে আসাম-অরুণাচল প্রদেশের পরিবর্তে ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হাওড়ার যুবককে।
আর ও পড়ুন আফগানিস্তানে মসজিদে ফের বোমা হামলা
শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে রেল পথকে হাতিয়ার করে শিলিগুড়িকে করিডর করে পাচারের রুট হয়ে উঠেছে। শিলিগুড়িতে অন্তরালে বেআইনি সোনার বাজার গড়ে উঠছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের একটা অংশ। শিলিগুড়িতে বেআইনি সোনা কেনাবেচার মাথাটা বসে রয়েছেন বলে অনুমান তাদের।
তবে বারংবার এ ধরনের মামলা সামনে আসার পর যেমন নিরাপত্তার বিষয়ে বাড়তি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না রেল তেমনি ইন্দো মায়ানমার সীমান্ত কে ব্যবহার করে আসাম রাজ্যের সঙ্গে এই অরাজক বেআইনি কারবারের আন্তর্জাতিক চক্রের কিংপিনেদের ধরতে কোনো পদক্ষেপ নেই কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের।