আজ বিকেলে কেওড়াতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের । প্রয়াত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স ছিল ৭৫। বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও। শুক্রবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। শুক্রবার সকালে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে।
সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর বালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে সুব্রতের মরদেহ। সেখান থেকে বাড়ি এবং একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে সুব্রতের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে গ্যান স্যালুটে তাঁকে জানানো হবে চিরবিদায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। আজ রাজ্যের সরকারি দফতর, অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এদিকে সুব্রতর মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেন মমতা।
আর ও পড়ুন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা ফুল-মিষ্টি দিলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী
সপ্তাহদুয়েক ধরে এসএসকেএমে ভরতি ছিলেন সুব্রত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরপর দুটি ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। দ্রুত তাঁকে স্থানান্তর করা হয় আইসিসিইউতে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাত ৯ টা ২২ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। অসুস্থতার কথা শুনে রাতেই ছুটে গিয়েছিলেন মমতা। নিজের বাড়ির কালীপুজোকে ফেলে রেখে দিয়ে ছুটলেন এসএসকেএম হাসপাতাল। তারপর চোখে জল নিয়ে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘ওঁর মরদেহ দেখতে পারব না।’ পরে তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক দুর্যোগ দেখেছি। কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যুটা আমার কাছে ভীষণ-ভীষণ বড় দুর্যোগ।
সুব্রতদার মতো মানুষ, এত হাসিখুশি মানুষ, এত কর্মঠ মানুষ, পার্টি অন্ত প্রাণ, বিধানসভা অন্ত প্রাণ – আর হবে কিনা, সন্দেহ আছে। তবে রাত তো কেটেছে কিন্তু শোক কাটেনি মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সত্তরের দশকে ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।তাই তো তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এমন আলোর দিনে অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেও পারিনি।’ আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।