সম্প্রীতির লক্ষ্মীপুজো পাণ্ডবেশ্বরের তিলাবনী গ্রামে। আজ লক্ষ্মীপূজো। লক্ষ্মী পুজোয় সম্প্রীতির বার্তা দিল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনী গ্রাম। তিলাবনি গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসবাস বেশি। এই গ্রাম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নামেই পরিচিত। মুসলিম সম্প্রদায়ের এই গ্রামে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে গৌরবের সাথে হয়ে আসছে লক্ষীপুজো।
এই গ্রামের প্রথম লক্ষ্মী পূজার শুরু করেন গ্রামের বাউরী সম্প্রদায়ের লোকেরা। গ্রামের সিপক বাউরি নন্দলাল বাউরীরা জানান, তাদের এই লক্ষ্মী পুজোয় গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা বিভিন্নভাবে যুক্ত থাকেন। লক্ষী পুজোর জন্য নানান ভাবে সাহায্য করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা বলে জানান সিপক বাবু। তিনি বলেন, আজ থেকে ১১ বছর আগে লক্ষ্মী পূজার শুরু হয়। কিন্তু, সে সময় তেমন কোন মন্দির ছিল না।
আরও পড়ুন – ঐতিহ্যবাহী উল্কা ক্লাবের দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেলা ও আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগিতা
বর্তমানে গ্রামের সকলের প্রচেষ্টায় নতুন মন্দির নির্মিত হয়েছে। লক্ষী পূজোর আগের দিন শনিবার তাদের লক্ষ্মী পুজোর উদ্বোধন করলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি, পঞ্চায়েত প্রধান পিনাকী ব্যানার্জী সহ অন্যান্যরা। ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি জানান, গ্রামের এই লক্ষ্মীপূজায় এলাকায় একটা সম্প্রীতির বার্তা দেয়।
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন একসাথে মিলে লক্ষ্মী পূজা করা, এক দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন তিনি। গ্রামের বাসিন্দা শেখ মহিদুল হোসেন বলেন, গ্রামের হিন্দু ভাইরা যেমন আমাদের পীর বাবার মেলায় সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করে, ঠিক সেই ভাবেই আমরাও হিন্দু ভাইদের নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করি। এই গ্রামে আমরা হিন্দু-মুসলিম একসাথে ভেদাভেদ ছাড়াই বসবাস করি। সম্প্রীতির লক্ষ্মীপুজো