কোন সময়ে সেক্স করা আদৌ ঠিক নয়। চিকিৎসকদের মতে সেক্স কেবল মাত্র সাময়িক সুখের জন্য নয়, সুস্থ শরীর ও স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্যও প্রয়োজন। তবে সেই সহবাসের ক্ষেত্রেও মেনে চলা উচিত বেশকিছু নিয়ম-কানুন। ঠিক কোন পরিস্থিতিকে সহবাসের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে, সেটার উপরও নির্ভর করা সুস্থ থাকার কারণ। তাহলে আজ আপনাদের জন্য থাকল কারন
সন্তান প্রসবের পর
চিকিৎসা শাস্ত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সন্তান প্রসবের পর সহবাসে সচরাচর কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা টানেন না চিকিৎসকরা। কিন্তু, প্রকৃতিগত কারণে অর্থাৎ, প্রসবের পর শরীরকে নিজের অবস্থানে ফিরে আসার সময় দেওয়ার জন্য অনেকেই ৬ সপ্তাহ অপেক্ষা করার কথা বলেন।
গর্ভাবস্থায় নিরাপদ, কিন্তু…
গর্ভাবস্থায় সহবাস যে নিরাপদ তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানা। কিন্তু এই সময় ঝিল্লির ছিঁড়ে যাওয়া, অমরার অস্বাভাবিক অবস্থান-সহ একাধিক সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
মানসিক দ্বন্দ্ব
সহবাসের প্রথম ও শেষ কথা মানসিক তৃপ্তি। কিন্তু মনের মধ্যে যদি কোনো দ্বন্দ্ব কাজ করে তা অবশ্যও ওই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা ভালো। সেটা হতে পারে সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গিনীর বা যে কোনো এক জনের মনের অস্বাভাবিক অবস্থা।
ইউটিআই রোগে
ইউটিআই বা উইরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে সঙ্গীর যে কোনো এক জন আক্রান্ত হলেও সহবাস এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, এতে যেমন রোগাক্রান্তের রোগের পরিধি বিস্তারের সম্ভাবনা প্রকট, তেমনই সঙ্গীর শরীরেও সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
যখন নিরাপদ নয়
অবাধ যৌন মিলনের ফলে হতে পারে সন্তানধারণ। গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ভাবে না থাকলে সহবাস এড়িয়ে চলতে হবে। এটা অবশ্য ব্যক্তিবিশেষের নির্দিষ্ট ব্যাপার। কিন্তু আর যাইহোক, গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা মজুত রাখাই শ্রেয়।
আর ও পড়ুন স্বামীর জামিনের খবর পাওয়ার পর কী বার্তা দিলেন শিল্পা ?
যৌনাঙ্গের জ্বালা-যন্ত্রণায়
বিভিন্ন কারণে জননাঙ্গে জ্বালা-যন্ত্রণার সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে সব থেকে বড়ো কারণ কোনো ছত্রাক ঘটিত রোগ। এ সব ক্ষেত্রে সহবাস পুরোপুরি এড়িয়ে চলা ভালো। নইলে রোগ বেড়ে যাবে নিশ্চিত ভাবেই।
জোর নয়
জোর করে সহবাসের কোনো মানেই হয় না। দু’জনের দিক থেকেই সম্মতি না মিললে এক জনের ইচ্ছেয় যৌনক্রিয়া আর যাই হোক, মোটেই সহবাস নয়।
ওষুধ এবং মাদক
কোনো কড়া ওষুধ অথবা অ্যান্টিবায়োটিক নিতে থাকলে সহবাসে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তবে সেটা ওষুধের চরিত্রের উপর নির্ভর করে। অন্য দিকে উত্তেজনা বাড়াতে সহবাসকালে মাদকের ব্যবহার ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।
পেপ টেস্টের আগে
পেপ টেস্টের মাধ্যমে জরায়ু মুখের কোষ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষাটি জরায়ু ক্যান্সারের পূর্বাবস্থা নির্ণয় করতে সক্ষম। এমন কোনো পরীক্ষার আগে কোনো মতেই সহবাস করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।