তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে জাওয়াদ, এই সময়ে কী করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, জানুন। গতিপথ পরিবর্তন জাওয়াদের, শক্তি বাড়িয়ে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা! বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর অধিকাংশ অভিমুখই এখন পর্যন্ত ভারতের উপকূলের দিকে। তবে এর কিছুটা অংশ বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা জওয়াদের অভিমূখ পরিবর্তন হল মাঝ পথেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ল্যান্ডফল হতে পারে পুরীতে।
কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে পুরী ছুঁয়ে জাওয়াদ বাংলারই দিকেই এগিয়ে আসতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে কাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। জওয়াদ ঠিক কোথায় এবং কোন সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভয় পাবেন না। গুজবে কান দেবেন না।
নিজে সতর্ক থাকুন এবং বাকিদেরকেও সাবধানে রাখুন। আপনার বাড়িতে মোবাইল ফোনে ফুল চার্জ দিয়ে রাখুন। কারণ ঝড় এলে কারেন্ট চলে যেতে পারে। ফলে জরুরি কিছুর জন্য মোবাইল কিংবা ট্যাবের প্রয়োজন হতে পারে। কারোর কথায় না কান দিয়ে টিভি চ্যানেলে নজর রাখুন। সেখানে আবহাওয়ার খবরগুলো মন দিয়ে শুনুন। আপনার বাড়ি যদি কোনও উপকূলীয় এলাকায় হয় কিংবা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তাহলে অতি দ্রুত বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ নথি ও দরকারি সামগ্রী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখুন।
আর ও পড়ুন আসছে ঘূর্ণিঝড়, উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের জন্য খোলা হলো বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র
ভুলেও এই সময়ে কোনও নির্মীয়মাণ ভবনের তলায় কিংবা ভিতরে প্রবেশ করবেন না। এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক রকম গুজব ছড়ায়। সেই দিকে কান না দিয়ে সরকারি তথ্য যা বলছে সেই দিকে নজর রাখুন। যদি আপনার মনে হয় আপনার বাড়ির নিরাপদ জায়গায় নয়, তাহলে অতি দ্রুত মায়া ত্যাগ করে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আসুন। আত্মীয়ের বাড়ি কিংবা সরকারি ত্রাণ শিবিরে সাময়িক আশ্রয় নিন।
ঝড়-বৃষ্টির সময় বাড়ির সমস্ত সুইচ অফ রাখুন। এই সময়ে রান্নার গ্যাস না জ্বালানোই ভালো। ঘরের সমস্ত দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন। আপনার বাড়ির পোষ্য কিংবা পাড়ার কুকুর-বিড়াল কিংবা অন্যান্য প্রাণী নিরাপদ স্থানে রয়েছে কিনা সেই দিকেও খেয়াল রাখুন। এই বিষয়ে আপনি আপনার এলাকার আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিতে পারেন। এই সময়ে লাইটপোস্টের নিচে কিংবা গাছের তলায় না যাওয়াই ভালো।
উল্লেখ্য,তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে জাওয়াদ, এই সময়ে কী করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, জানুন। গতিপথ পরিবর্তন জাওয়াদের, শক্তি বাড়িয়ে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা! বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর অধিকাংশ অভিমুখই এখন পর্যন্ত ভারতের উপকূলের দিকে। তবে এর কিছুটা অংশ বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা জওয়াদের অভিমূখ পরিবর্তন হল মাঝ পথেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ল্যান্ডফল হতে পারে পুরীতে।কিন্তু আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে পুরী ছুঁয়ে জাওয়াদ বাংলারই দিকেই এগিয়ে আসতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে কাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। জওয়াদ ঠিক কোথায় এবং কোন সময় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভয় পাবেন না। গুজবে কান দেবেন না।