সরকারি জায়গা ঘর করার অভিযোগ স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শাসক দলের সমর্থক হওয়ায় সরকারি জায়গা অর্থাৎ নজুলিতে ঘর করার অভিযোগ উঠল স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।এই অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের রায়দিঘী থানার ইস্তরনপুর এলাকায়। ঐ স্কুল শিক্ষকের নাম তপন হালদার বাড়ি কৌতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইস্তরনপুর এলাকায়। শিক্ষাকতা ছাড়াও ঐ স্কুলশিক্ষকের একটি বড় বিল্ডার্স দোকানে রয়েছে।
পূর্ণচন্দ্র পুর চাঁদ মনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ভবনের শিক্ষক তিনি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আজ বেশ কিছু মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়।তাদের অভিযোগ ঐ শিক্ষক তার জায়গার পাশে থাকা কালী মন্দির এবং একটি সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য নলকূপ দখল করার চেষ্টা করছেন।ইতিমধ্যে নলকুপের দুপাশে ঘর করার জন্য দেয়াল তোলা হয়েছে এবং কালীমন্দিরের গায়ে বিল্ডার্সের বিজ্ঞাপন লিখেছেন।
এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ওই সরকারি জায়গার উপরে থাকা বেশ কিছু বড় বড় খেজুর গাছ কেটে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে তবে এই বিষয়ে শিক্ষকের ছেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন তার বাবা জায়গাটিকে কিনেছেন। তবে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এই জায়গাটি মালিকের কাছ থেকে কিনেছেন তার স্ত্রীর নামে। সরকারি জায়গা কিভাবে কিনলেন এবং গাছগুলো কেন কাটলেন তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে গাছগুলো জায়গা যিনি।এই সমস্ত বিষয়ে ইতিমধ্যে এলাকাবাসী বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকের কাছে লিখিত দরখাস্ত জমা দিয়েছেন।এলাকাবাসীর প্রশ্ন যেখানে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।
আরও পড়ুন – অভিষেক কে কাছে পেয়ে নিজের সমস্যার কথা জানালেন স্নেহাশীষ সাহা
আর সেই শিক্ষক বেআইনিভাবে গাছ কাটছেন এবং নয়ানজুলিতে ঘর করছেন সেটা কি করে হয়। যে নল কুপটি রয়েছে ঐ শিক্ষকের আগামী দিনে নলকূপটি ঘিরে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। কারণ হিসেবে তারা জানান বর্তমানে নলকূপের দিকে রড বার করে দেওয়া হয়েছে সম্ভবত সেখনে সিঁড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন ওই শিক্ষক। তবে এই বিষয়ে এলাকাবাসী রায়দিঘি থানা, মথুরাপুর দু’নম্বর এর বিডিও, এরিকেশন দপ্তরে ও বি এল আর ও কে দরখাস্ত করা হচ্ছে বলে খবর।