জমি নয়, সরকারি ভবন ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টা। এবার সরকারি ভবন ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো একদল জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে। পরিত্যক্ত সরকারি ভবন ভেঙ্গে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে মানিকচকের খয়েরতলা এলাকায়। কোনওরকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই জেসিবি দিয়ে চালানো হয় পরিত্যক্ত সরকারি ভবন ভাঙ্গার কাজ।
মানিকচকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোয়েরতলা দুলেপাড়ায় রাজ্য সড়কের পাশে প্রায় কয়েক দশক আগে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে একটি অফিসঘর ও একটি বড় হল ঘর তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই সরকারি ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। সরকারি ভবনটি প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থা। অভিযোগ হঠাৎ করে জেসিবি দিয়ে সরকারি ভবনটি ভেঙ্গে ফেলতে শুরু করে। বেশির ভাগ অংশ ভেঙ্গেও ফেলেছে।স্থানীয় মানুষজন সরকারি ভবনটি ভাঙ্গার প্রতিবাদ করেন।
আরও পড়ুন পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ভুতুড়ে শহর কার্শিয়াং !
খয়েরতলা এলাকার বাসিন্দা উদয় কর্মকার ভগ্নপ্রায় পরিত্যক্ত ভবনটিকে সরকারি ভবন মানতে নারাজ।তার দাবি,সরকারি ভবন নাকি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। ভবনটি তাঁর দাদু নির্মান করেছিলেন। সেচ দপ্তরকে ভাড়া দিয়েছিলেন।তাই তারা ভগ্নপ্রায় ভবনটিকে ভেঙ্গে নিজেদের জমি ভাগ করে নিবেন। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল দুলে বলেন,আমরা ছোট থেকে শুনেছি ভবনটি ছোট ঘরে পাম্প বসানো ছিল।
এখান থেকে জল সেচের জন্য জল সরবরাহ করা হত এবং বড় হল ঘরে কৃষকেরা নিজেদের ফসল সবজি মজুত রাখতেন। এটা কারোও পৈতৃক সম্পত্তি হতে পারে না।এটা সরকারি জমি। জোরপূর্বক এই জমি দখলের চেষ্টা চলছে।ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন মানিকচক থানার পুলিশ।