সরকারি স্কুলের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে! ক্লাসরুমেই খান মদ -সিগারেট

সরকারি স্কুলের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে! ক্লাসরুমেই খান মদ -সিগারেট

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

দমদম- রাজ্যের সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার ছাত্রী। স্কুলের মধ্যেই সকলের সামনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। দমদমের একটি সরকারি বিদ্যালয়ে সোমবার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়া-সহ অভিভাবকরা। পাশাপাশি ভাঙচুরও চালানো হয়।



জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রী অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। দমদম বিশরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সে। সোমবার স্কুলে  প্রধান শিক্ষক তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এরপর ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয় জানালে মঙ্গলবার স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা এসে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারির দাবি তোলেন তারা।


দমদম থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই প্রিন্সিপাল ক্লাসে মদ্যপান করে এসেছিলেন। এমন সময় ৩ ছাত্রী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ায়। প্রিন্সিপাল আচমকাই চেঁচিয়ে তাদের শৌচাগারে যেতে নিষেধ করেন। এরপর এগিয়ে এসে ওই ছাত্রীর বুকে হাত দেয় বলে অভিযোগ। বাজেভাবে শক্তভাবে তার ইউনিফর্ম ধরে থাকেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, দাবি নির্যাতিতার।


ওই পড়ুয়া আরও জানায়, কাঁদতে থাকার পরও ছাড়েননি প্রধান শিক্ষক। এরপর ওই ছাত্রীর দাদা ছুটে আসে। শিক্ষক ছেলেটির পরিচয় জানতে চায়। ছেলেটি নিজেকে ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিলে শিক্ষক তাঁকে পাল্টা ধমক দেন বলে দাবি।



“ছাত্র ছাত্রের মতো থাকবি,” এই বলে তাঁকেও প্রধান শিক্ষক মারধর করেন বলে অভিযোগ। আরেক ছাত্র ছুটে আসে বাঁচাতে, কিন্তু তাঁকেও মারা হয় বলে দাবি। এরপর পড়ুয়ারা বাধা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক  মদ্যপ অবস্থায় থাকাই উল্টে যান বলে জানায় নির্যাতিতা।


এই ঘটনাই প্রথম নয় এর আগেও হেডমাস্টার অনেক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। পড়ুয়ারা আরও জানায়, প্রায়ই মদ খেয়ে স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক। এমনকি স্কুলে বসেও মদ্যপান করেন বলে অভিযোগ। শ্রেণিকক্ষে চেয়ারে বসে সিগারেট খান তিনি, এমনই দাবি পড়য়াদের। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে তারা। এমনকী, শ্লীলতাহানির ঘটনায় আতঙ্কে স্কুলে পর্যন্ত আসতে চাইছে না পড়ুয়ারা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top