সল্টলেকে মা মেয়ের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। দেহের পাশে মিলল সুইসাইড নোট। মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী বলেই অনুমান পুলিশের। দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্যে পাঠালো বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেষবারের মত কথা বলেন সল্টলেক সিডি ব্লকের বাসিন্দা সুপর্ণা ঘোষ (৫৫)। এরপর আজ সকালে সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিন তলার এই মহিলার পাশের ঘরের প্রতিবেশী দেখতে পান তার ঘরের ভিতর থেকে জল বেরিয়ে আসছে। বারংবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেশীর দাবি। পাশের ঘরের প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে এই মহিলার বান্ধবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।
প্রতিবেশী এবং বন্ধুরা ফোন করলেও তার কোনও উত্তর মেলেনি। দরজায় এসে ধাক্কা মারলেও কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাদের। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পান ঘরের খাটের উপর মেয়ে স্নেহা ঘোষ এবং মেঝেতে মা সুপর্ণা ঘোষের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তাদের মৃত দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় জানান, ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছিল সুপর্ণা ঘোষের স্বামী স্নেহাংসু ঘোষের। তারপর থেকেই মানসিক এবং আর্থিক ভাবে ভেঙে পড়েন তারা। ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান মৃত্যুর সময় তার অন্তস্টি সৎকারের জন্যে ২০ হাজার টাকাও তিনি সুইসাইড নোটের সঙ্গে রেখে যান।
আর ও পড়ুন গরম যত বাড়ছে তেষ্টা মেটাতে ততই বাড়ছে গংগারামপুরের মাটির তৈরি মিনি ফ্রিজের চাহিদাও
তবে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে। দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সত্যি কি মানসিক অবসাদের জেরে স্বামী মৃত্যুর এক মাস পর কর্মজীবী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন সুপর্ণা ঘোষ নাকি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মা মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, সল্টলেকে মা মেয়ের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। দেহের পাশে মিলল সুইসাইড নোট। মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী বলেই অনুমান পুলিশের। দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্যে পাঠালো বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেষবারের মত কথা বলেন সল্টলেক সিডি ব্লকের বাসিন্দা সুপর্ণা ঘোষ (৫৫)। এরপর আজ সকালে সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিন তলার এই মহিলার পাশের ঘরের প্রতিবেশী দেখতে পান তার ঘরের ভিতর থেকে জল বেরিয়ে আসছে। বারংবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেশীর দাবি। পাশের ঘরের প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে এই মহিলার বান্ধবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।