সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে

সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নয়াদিল্লী, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০মেধা সম্পত্তি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২রা ডিসেম্বর মেধা সম্পত্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের শিল্পোৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মন্ত্রক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের ইউনাইটেড স্টেটস পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিস (ইউএসপিটিও)-র মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ভারতের পক্ষে শিল্পোৎসাহ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মন্ত্রকের সচিব ডঃ গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র এবং ইউএসপিটিও-র পক্ষে আন্ডার সেক্রেটারি মিস্টার আন্দ্রেই ইয়ান্চু ভার্চুয়ালি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৯-এ ফেব্রুয়ারি মেধা সম্পত্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের অনুমোদন দিয়েছিল। এরফলে দুটি দেশের মধ্যে মেধা সম্পত্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়বে :
ক) মেধা সম্পত্তির বিষয়ে সব থেকে ভালো নিয়ম, অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান জনসাধারণ ও শিল্পসংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা-উন্নয়ন সংস্থা, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির মধ্যে প্রচার করা হবে। এরজন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
খ) প্রশিক্ষণ কর্মশালা, বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মত-বিনিময় তথ্যের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে।
গ) পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক, স্বত্ত্বাধিকার, ভৌগলিক স্বীকৃতি এবং মেধা সম্পত্তির সুরক্ষা প্রয়োগের বিষয়ে ভালো নিয়মগুলি নিয়ে তথ্যের আদান-প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে আবেদন এবং নিবন্ধীকরণের প্রক্রিয়া নিয়েও তথ্যের আদান-প্রদান করা হবে।
ঘ) মেধা সম্পত্তির জন্য স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন নথি ও তথ্যের আদান-প্রদান এবং মেধা সম্পত্তির দপ্তরের পরিচালনা নিয়ে মতবিনিময় করা হবে।
ঙ) চিরায়ত জ্ঞান এবং ভালো নিয়মগুলির বিষয়ে বোঝাপড়ার জন্য সহযোগিতা গড়ে তোলা হবে। চিরায়ত তথ্য সম্বলিত তথ্য ভান্ডার এবং মেধা সম্পত্তির বিষয়ে বিভিন্ন নিয়মাবলীর বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হবে।
চ) উভয় পক্ষ পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়গুলি চিহ্নিত করবে।
সমঝোতা চুক্তিটি বাস্তবায়নে জন্য প্রতি ২ বছর অন্তর একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে যেখানে বিস্তারিতভাবে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা চলবে।ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই সহযোগিতার ফলে দুটি দেশ একে অন্যের ভালো নিয়মগুলির বিষয়ে জানতে পারবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষে এটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর ফলে জাতীয় মেধা সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ নীতি ২০১৬-র লক্ষ্য পূরণ হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top