সাঁতরাগাছি ওভারব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু, যানজট রুখতে একাধিক পদক্ষেপ পুলিশের। হাওড়ার সাঁতরাগাছি রেলওয়ে ওভারব্রিজের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যানজট রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।কেননা এই কাজের জন্য আগামী প্রায় দেড়মাস সেতুতে যান চলাচলের জন্য নানা নিয়ম করে দিয়েছে তারা।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,গোটা ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দেড় মাস চলবে এই কাজ।
সেই কারণে ওই সময়ের মধ্যে সাঁতরাগাছি সেতুর উপর দিয়ে আংশিক বন্ধ রাখা হচ্ছে যান চলাচল। রাত এগারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ব্রিজের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ভোর ৫টার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সেতু দিয়ে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী গাড়ি ( বাস, প্রাইভেট বাস ), বাইক, স্কুটার, অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করতে পারবে। যে কয়দিন ব্রিজের মেরামতির কাজ চলবে সেই কয়দিন কোনও মালবাহী গাড়ি চলতে দেওয়া হবেনা ব্রিজের উপর দিয়ে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং সহজে যাতে গাড়ি যাতায়াত করতে পারে সেইজন্য সর্বক্ষণ নজরদারি রাখা হচ্ছে। মালবাহী গাড়ি পাঠানো হবে আন্দুল রোড দিয়ে।আন্দুল দিয়ে সেই গাড়ি আলমপুর হয়ে ধুলাগোড় হয়ে পড়বে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। মাইতিপাড়া দিয়ে যে মালবাহী গাড়ি আসত সেই গাড়ি এখন নিবেদিতা সেতু দিয়ে টালা ব্রিজ হয়ে কলকাতার বন্দর বা অন্যান্য এলাকায় চলে যাবে।
অন্য আর একটি বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাকি ছোট গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুলেন্স প্রভৃতি গাড়ির জন্য কিছু গাড়ি যারা কলকাতার দিকে যাবে সেগুলো বেলেপোল হ্যাংস্যাং ক্রসিং হয়ে শানপুর ক্রসিং দিয়ে হাওড়া আমতা রোড দিয়ে শলপের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ওখান দিয়ে জাতীয় সড়কে যাওয়া যাবে। এই রাস্তা দিয়ে মালবাহী গাড়ি যাবেনা। আর যারা উল্টো দিক থেকে আসবে তাদের সলপ ক্রসিং দিয়ে হাওড়া আমতা রোড দিয়ে হ্যাংস্যাং ক্রসিং ধরতে হবে।
আরও পড়ুন – রাহুল গান্ধীর ”পাপ্পু’ নামটা এবার কাটল, বিজেপির ঘুম উড়ল
হাওড়ার অভ্যন্তরীণ মালবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য আলাদা নোটিফিকেশন করা হয়েছে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মালবাহী গাড়ি যখন থেকে চলাচল করবে তখন থেকে অটো, টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সাঁতরাগাছি ব্রিজ দিয়ে হাওড়া বা কলকাতার দিকে যাতায়াতকারী গাড়িগুলো কিভাবে যাতায়াত করবে সেটা ট্রাফিকের চাপ দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সাধারণত এক্সাইড দিয়ে প্রথমে গাড়ি পার করা হবে। পরে উল্টো দিক থেকে পার করা হবে। যাতে সুষ্ঠুভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্য অনেকদিন ধরেই হোমওয়ার্ক করা হয়েছিল পুলিশের তরফ থেকে।
যাতে সকল পুলিশ কমিশনারেট এবং এজেন্সির মধ্যে সমন্বয় থাকে তার জন্য চন্দননগর কমিশনারেট, হাওড়া গ্রামীণ, হুগলি গ্রামীণ, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, বিধাননগর পুলিশ কমশনারেট সকলের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করা হয়েছিল। যাতে খুব বেশি অসুবিধা না হয়। এই ব্রিজ হাওড়ার লাইফ লাইন। ব্রিজটি সারানোর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত অস্থায়ী হোমগার্ড রাখার অনুমোদন মিলেছে। এই জন্য প্রায় ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে। মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের দাবি।