সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি গেলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দমদম বিমানবন্দরে এসে তিনি জানান, সুকান্ত মজুমদার বলেছেন শুরুতে সবারই অভিজ্ঞতা কম থাকে দিলীপ ঘোষের অভিজ্ঞতা কম ছিল এই প্রসঙ্গে জানানঠিকই বলেছেন তিনি আমিও বলেছি তাই উনি সভাপতি হতে উনাকে জেনে গেছে আগের লোক আমাকেও জিজ্ঞেস করত দিলীপ ঘোষকে এখন পার্টি বড় হয়ে গেছে ওনাকে সব জেনে গেছে আমি বলেছিলাম সাংগঠনিকভাবে ওনার অভিজ্ঞতা কম আমিও বলতাম তাই যখন আমি দায়িত্ব নিলাম পার্টি বড় হওয়ার জন্য সবাই বড় হয়ে যায়।
কুনাল ঘোষ বলেছেন বিজেপি এবার দুই ভাগে বিভক্ত। সেই প্রসঙ্গে বলেন, কুনাল ঘোষের দূরদৃষ্টি আছে আগে রাহুল সিনহা দিলীপ ঘোষ করতেন তারপর শুভেন্দু দিলীপ ঘোষ করতেন এইসব গল্প করুন দেখুন এতো বড় পার্টি ক্ষমতায় আছে এত বিশ্বনেত্রী ওনাদের স্টেট কমিটি ঘোষণা করার পর ডিজাল্ভ করতে হলো ডুবে মরা উচিত হাঁটুজলে এইখানে এসে ডুবে মরুক ইকোপার্কে জল নেই তো লজ্জা করা উচিত এ কথা বলায় আগে আমাদের পার্টিতে টা করতে হয় না একটা ৪২ বছরে লোককে এতো বড় দায়িত্ব দিয়েছি এবং পুরো পার্টি তার পিছনে আছে যেভাবে লড়াই করছি আমরা সেভাবে লড়াই করব আর দম বন্ধ করে দেবো কটা গুন্ডা-বদমাশ পুলিশকে নিয়ে বিজেপিকে আটকাতে পারবেনা।
ফিরহাদ হাকিম রাজ্যপালকে দাদু বলার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, সেটা কি করবেন না করবেন উনি জানেন দাদি বলুন আর মেসি বলুন এত সহজে ডাল গলবে না মনে রাখবেন শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান,আমি জানিনা কেন ছেড়েছেন কে ছেড়েছেন ওনাকে জিজ্ঞেস করুন।
আর ও পড়ুন টাকা তুলতে গিয়ে অপহরণ নবম শ্রেণীর ছাত্রী
অনুব্রত মণ্ডল গতকালও post-poll ভায়োলেন্স নিয়ে হাজির হলে না সিরিয়ায় দপ্তরে এটা নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান,আমার তো মনে হয় ওনার হাজিরা দিয়ে সিরিয়ায় জেলে পাঠায় জেলে যাওয়া উচিত না হলে ওনাকে মেরে ফেলা হবে আমি প্রেসে সামনে বলছি যত কিছু বড় বড় ঘোটালা হয়েছে সব কাটাতে উনার নাম জড়িয়েছে উনি সব কিছু ভেতরের খবর উনি জানেন ওনার মুখ যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্টিও বেঁচে যাবে ভাইপো বেঁচে যাবে অনেক বড় বড় নেতা বেঁচে যাবে সেজন্য হয়তো রাজা কে বাঁচানোর জন্য মন্ত্রীকে মেরে দেয়া হতে পারে।
অনুব্রত সিবিআই হাজিরা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,ওনার খালি সিবিআই দেখলে শরীর খারাপ হয়ে যায়। প্রশ্ন তা নয় এভাবে তো বেশি দিন বাঁচা যায় না, আজ হোক কাল হোক আসতে হবে কিন্তু আমার যেটা সন্দেহ হচ্ছে, হয় ওনাকে সারাজীবন হসপিটালে থাকতে হবে আর না হয় সারাজীবন জেলে থাকতে হবে ।
জেলে থাকলে ঠিক আছে কিন্তু হসপিটালে থাকলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম ।এখন আমার যেটা মনে হচ্ছে এনি হাও তাকে মেরে ফেলা যেতে পারে সমস্ত তথ্য লোপাট করার জন্য ।কেননা একাধিক কিসের সাথে যুক্ত আর টিএমসি পার্টির বিভিন্ন নেতা এই সমস্ত কেসের সঙ্গে যুক্ত আছে ।আমার মনে হয় একটা চাবিতেই সব ঘর খোলা যাবে সেজন্য চাবি হারিয়ে ফেলো। সেই জন্য এখন নতুন চিন্তা আমাদের এটা যে ওই লোকটা যদি জেলে চলে যায় তাহলে প্রাণটা থাকবে ,না হলে খুব সম্ভাবনা আছে বেঁচে না থাকার।