এসএসসি’ দুর্নীতির অভিযোগ-তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়,সাথে ফিরহাদ হাকিম -কি বললেন? স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।এর ফলে ক্রমশ অস্বস্তিতে পড়ছে ঘাস ফুল শিবির।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে এফআইআর দায়ের করে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে ও তদন্তে একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।এছাড়াও,সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে তৈরি অনুসন্ধান কমিটিও কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।সূত্রের খবর,
এই অনুসন্ধান কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চটয়পাধায়ের নামও সামনে এসেছে। তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুমতিতে যুগ্ম সচিব ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই অনুসন্ধান কমিটি তাদের রিপোর্টে সেটিকে “বেআইনি” বলে ব্যাখ্যা করেছে। এমনকি চেয়ারম্যানকে না জানিয়েও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে। আর এই অবস্থার মধ্যেই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।অন্যদিকে,পার্থ চট্টপাধ্যায়কে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হবার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়।কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে আপাতত কিছু টা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি।
আর এরপরেই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে প্রশ্নেের উত্তরে পার্থবাবু বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছুই বলল না। এটা বিচার বিভাগীয় বিষয়। কোনও মন্তব্য করব না। এমনকি প্রশাসনিক ভাবে বিষয়টি দেখা হবে। আইন আইনের পথে চলবে। ” অন্যদিকে সম্প্রতি কুণাল ঘোষ ও নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন এবং নিয়োগ ছাড়াও, আইকোরের সঙ্গে পার্থবাবুর যোগ নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল মহাসচিবকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমরা দলের শৃঙ্খলা পরায়ণ সৈনিক। এই তরজার মধ্যে নেই।” অন্যদিকে এই নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য,” দলের ফোরাম আছে সেখানে যা আলোচনা হওয়ার হবে। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। ”
এরপরই তৃণমূলের মহাসচিবের কথায় উঠে আসে আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল।তার জাছে “জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। “যদিও তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তি দায় বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়েই তিনি বলেন, “অশান্তির চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তবে মানুষ উপেক্ষা করেই ভোট দিয়েছে।তাহলে ভোটের হার অনেকটাই কম কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রমজান মাস চলছে। আর বালিগঞ্জের একটা অংশের মানুষ হাই রাইসে থাকে। পাশাপাশি উপ নির্বাচন হওয়ার কারণে ভোটের হার কম। “