সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির চিন্তন শিবির প্রসঙ্গে যা বলেন দিলীপ ঘোষ

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির চিন্তন শিবির প্রসঙ্গে যা বলেন দিলীপ ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির চিন্তন শিবির প্রসঙ্গে যা বলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সংসদ দিলীপ ঘোষ সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় বিজেপির চিন্তন শিবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন…..

চিন্তন শিবির নয় প্রশিক্ষণ শিবির ভারতীয় জনতা পার্টির প্রশিক্ষণ সারা বছর চলতে থাকে। সারা দেশ জুড়ে চলতে থাকে এটা একটা প্রক্রিয়া। কার্যকর্তাদের বিচারধারা আদর্শবাদ সম্বন্ধে কার্য পদ্ধতির সম্বন্ধে সম্মুখ জ্ঞান দেওয়া সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে মাননীয় মোদিজির নেতৃত্বে সরকার যে কাজ করছে তার বিভিন্ন সাফল্যের বিষয় তুলে ধরা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে।

 

পঞ্চায়েত ভোট বা লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে তিনি বলেন…..
আমি জানিনা পঞ্চায়েত নিয়ে হবে হয়তো। নিশ্চয়ই রাজনৈতিক পার্টির সম্মেলনে নির্বাচন থাকবে পুরো সূচি কি আছে আমার জানা নেই।

 

তৃণমূল বলছে রিসোর্ট রাজনীতি তাহলে বাংলাতে হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন…..
আমরা আগের থেকেও করেছি হলদিয়াতে হোটেলে করেছি। বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম তার জন্য বিশেষ জায়গা দরকার হয় ওদের প্রশিক্ষণ নেই সিন্ডিকেট আর কাঠ মানির জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হয় না রাস্তায় দাঁড়ালেই হয়ে যায় শিখে আসে সবাই ভারতীয় জনতা পার্টির একটা আদর্শ আছে। প্রত্যেকটি কর্মীকে সে ব্যাপারে সম্মুখ অবহিত করা হয় তাই এই ধরনের ব্যবস্থা আছে। আর মাঝেমধ্যে এটা হয়। প্রতি তিন বছর অন্তর উপর থেকে নিচ সম্পূর্ণ সবাইকে প্রশিক্ষিত করা হয়।।।

 

তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির জনপ্রিয়তা দেখে চিন্তার ভাঁজ বিজেপির মধ্যে, দু কোটি টাকা ব্যয়ে চিন্তন শিবির করছেন। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন…..
চিন্তন শিবির ওরা বুঝতে পারবে না প্রশিক্ষণ ওরা বুঝতে পারবে না চুরি-ডাকাতির প্রশিক্ষণ তো হয় না। যাদের নাম বড় বড় নেতা তাদের নামে প্রকাশ্যে বলছে হুমকি দিয়ে কাট মানি নিচ্ছে এমপি MLAদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে টিভির পর্দায় টাকা নিতে তাদের আবার প্রশিক্ষণ কি আছে ভারতীয় জনতা পার্টি যাতে এরকম না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে মিডিলম্যান গ্রেফতার হচ্ছে সিবিআই দাবি করছে বহু বছর ধরে এরা চাকরি বিক্রি করছে। এই প্রশ্নে তিনি বলেন….
ওরা যাকে সন্দেহ করছে তাকে ডাকছে জেরা করছে। তার মধ্যে কে যুক্ত কে যুক্ত নয় সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। তথ্য প্রমাণ করতে গিয়ে অনেক দূর অবধি চলে যাচ্ছে শিকড়। আমাদের মনে হয় যাদের হাত দিয়ে এগুলো হয়েছে তাদেরকে টার্গেট আগে করা উচিত।

সিবিআই নিয়ে এর আগে আপনি অবিশ্বাস ব্যক্ত করেছিলেন এরপর সিবিআই জিজ্ঞাসা করলেন ঠিকই আছে, কাজটা ছোট নয়। কত দূর অব্দি গেছে এর থেকে বোঝা যায় তাদেরও একটা কাজের সীমা আছে, শক্তির সীমা আছে তারা তাদের মত করছেন যে মাধ্যমে গিয়ে মূল সমস্যায় পৌঁছানো যাবে। অপরাধীদের কাছে পৌঁছানো যাবে কাজ শুরু করেছেনআমাদের বক্তব্য ছিল মানুষের এনিয়ে ত্রাহি ত্রাহি করছেন তাড়াতাড়ি মানুষ সুবিচার পেতে চায়। গতি আনা চাই ধৈর্যের একটা সীমা আছে।

 

ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই সন্তোষজনক তদন্ত করছে না সেই একই সুর সোনা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতির গলায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
সাধারণ কর্মীরা যারা অত্যাচারিত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যাদের পরিবারে মানুষকে হারাতে হয়েছে তাদের মনে ক্ষোভ, বিক্ষোভ আছে। আমরা গেলে তারা এসব কথা বলেন আমাদের আশা ছিল সিবিআই আসছে হয়ে যাবে। যখন হয় না তখন তারাও বলেন আমাদেরকে বলতে হয় কারণ আমরা বিচার প্রার্থী।

আরও পড়ুন – বালি মাফিয়াদের বালি তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা

শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন….. তৃণমূলের মধ্যে এসব নিয়ে বিরাট বিদ্রোহ চলছে, আপনারা জানেন পার্থ চ্যাটার্জিকে ততক্ষণ বার করেন নি যতক্ষণ না দলে বিদ্রোহ হয়েছে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহর পরে অভিষেক ব্যানার্জিকে এসে বক্তব্য দিতে হয়েছে মমতা ব্যানার্জি এড়িয়ে গেছেন। আর তিনি নিজেও সেই ভাবে বহিষ্কার করেনি সেই জন্য এই যে ঘটনা ভেতরে বিদ্রোহ চলছে কখনো কখনো বেরিয়ে আসছে যারা বুঝতে পেরে গেছেন আমি পুরাতন তৃণমূলে চলে গেছি কমপক্ষে কিছু তো বলি না হলে কর্মীরা মাফ করবে না এই যে লুট পার্টির রাজনীতি চলছে অনেকের সহ্যের সীমা পার হয়ে গেছে যারা কামিয়ে নিয়েছেন সেটিং করে নিয়েছেন তাদের কোন অসুবিধা নেই ,পার্টি নিয়ে ,বাংলা নিয়ে সরকার নেই যাদের চিন্তা আছে তারা হয়তো বলছেন।

 

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আজকে সমাবেশ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন…..
নতুন তৃণমূল আর পুরনো তৃণমূল এক হয়ে যাচ্ছে কিনা আমি জানিনা। এই যে ফান্ডা শুরু করা হয়েছে লোককে বোকা বানাবার জন্য সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরে গেছে তাই লোকে এনিয়ে চিন্তা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে একটি পরিবারকে বাঁচাতে হবে নেতাকে বাঁচাতে হবে। তাই এই সমস্ত কান্ড। কংগ্রেস এইভাবে করতে করতে শেষ হলো।এর ও শেষের দিকে যাত্রা শুরু হয়েছে।

 

বাগদায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গেছেন ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন….
এখানে গত সপ্তাহে বেলেঘাটা একটু গর্ভবতী মহিলার পেটে লাথি মারলো টিএমসির গুন্ডারা দিয়ে কোথায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করতে দেখিনি ওখানকার MLA কে একজন মহিলা ডাক্তার,মন্ত্রী ওখানে গিয়ে বড় বড় ডায়ালগ দিচ্ছেন, তার কোন স্টেটমেন্ট দেখলাম না। বগটুইতে আটজন মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হলো মমতা ব্যানার্জি কি পদত্যাগ করেছিলেন।

 

নির্লজ্জরা মুখে বলে কিছু করেনা যাদের নীতি নৈতিকতা নেই এই ফালতু রাজনীতি করে নিজেকে হাস্যস্পাদ করছেন নাকি ওখানে বসেছিলেন বগটুই যান ওখানে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে আসুন ,বেদীতে মালা দিয়ে আসুন। মমতা ব্যানার্জিকে বলুন মুখ ফুটে একবার দুঃখ প্রকাশ করো ‌‌আপনাদের সমস্ত কাপড়-চোপড় নিচে নেমে গেছে লোক বুঝে গেছে আপনাদের মান সম্মান কি আছে না হলে বেহায়ার মতো মন্তব্য করেন কে মারবে পিটবে বলছেন। চোর ডাকাত যারা সমাজবিরোধী তাদের হারাবার কি আছে।

 

তৃণমূল বলেছে পঞ্চায়েতে দেওয়াল লিখন হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হোক বা রাজ্য নেতৃত্ব হোক এলেও এবার বিজেপি বাংলায় জিততে পারবে না এই প্রশ্নে তিনি বলেন…
আমি বলছি তৃণমূলের ভবিষ্যৎ লেখা হয়ে গেছে, ভবিতব্য।দেওয়ালে লেখা হয়ে গেছে ,মানুষের মুখে লেখা হয়ে গেছে। সেটা বুঝুন । দেওয়াল লিখন ,ইলেকশন আসবে যাবে আপনারা মারপিট করে ২টো সিট জিতে যাবেন তাতে বাংলার ভালো মন্দ কিছু হবে না। মানুষ আপনাদের চেহারাটা চিনে গেছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top