সাংবাদিক বৈঠকে, মমতা – মোদী কে এক যোগে আক্রমন অধীর চৌধুরীর । তৃণমূল দলের দ্বিধা বিভক্ত আজকে পিসির ভাইপোর মধ্যে যে বিভাজন সে বিভাজন দিনের পর দিন স্পষ্ট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নিজে কেষ্টকে ছাড়তে পারবে না কারণ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সব হয়েছে আমি আগেও বলেছি আজও বলছি আগামী দিনেও বলবো। ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্ধোপ্যাধায় কে এক হাত নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
সোমবার সন্ধায় বহরমপুর কংগ্রেস কার্ষালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরী বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া কেষ্টর মত লোকের ক্ষমতা নেই এই রকমের হাজার হাজার কোটি টাকা রোজগার করা। কেষ্ট একা খায়নি কেষ্ট গোটা পার্টিতে চালিয়েছে। তদন্ত হোক প্রমাণ হবে কেষ্ঠ জাতির আর মুখ না খুলে তার জন্য দিদি কেষ্ট কে সামলাতে কেষ্টর জন্য আন্দোলন করার কথা বলছে এই আন্দোলন করবে কেষ্টর জন্য কেষ্টর জন্য প্রতিবাদ করছে লাখ লাখ কেষ্ট করার গল্প শোনাচ্ছে কারণ দিদি জানে কেষ্ট যদি আর মুখ খোলে অনেকের হয়তো বিস্তার হবে না তাই কেষ্ট যদি আর মুখ না খুলে অভিমানে তার জন্য কেষ্টকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তিনি বাইরে আন্দোলন করার কথা বলছে জেল ভরার কথা বলছে অনেক গল্প তিনি শোনাচ্ছেন ।
মুখ্য তো আমার যেটা মনে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার আজ তার গতি হারিয়েছে লক্ষ হারিয়ে এবং তারা জানে না তারা কি বলছে আর কি করছে। পিসি জানে না ভাইপো কি বলছে ভাইপো জানিনা পিসি কি বলছে। এরকম পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এদের মন্তব্য শুনে নিশ্চয়ই বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু দিদি এবং ভাইপো উভয় চাই তাদের পরিবারকে রক্ষা করতে তাদের নিজেদের সম্পর্ককে রক্ষা করতে। বাকি সব ভোগে দিতে পারে কিন্তু নিজের পরিবার দিদির ভাইপো কখনো ভোগে দেবে না।
দিদি কেষ্টকে ছাড়তে পারবে না কেসটাও দিদিকে ছাড়তে পারবে না কারণ উভয় উভয়কে জানিয়ে সবকিছু হয়েছে। বোলপুরের কেষ্ট সে একাতো চুরি করেনি সত্যি তো এটাই। বাচ্চা শিশুও জানবে সরকার তৃণমূলের ,মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের ,পুলিশ মন্ত্রী তৃণমূলের, আর দিদির অজান্তে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে দিদির কিছু ই জানছেন না।
দিদি এমন করে গান্ধারী সাজলে আমাদের পক্ষে তো মুশকিল। দিদি তো বাংলার গান্ধারী নন, দিদির সবই দেখছেন। ভারতবর্ষের 75 তম স্বাধীনতা দিবসের ভারতবর্ষের আজকের আর্থিক দৈন দশা বেকারত্ব, কৃষকের দুরাবস্থা ভারত বর্ষ জুড়ে আর্থিক হাহাকার সেসব আমরা শুনতে চেয়েছিলাম সেখান থেকে দেশকে কিভাবে বার করে নিয়ে আসবে কিন্তু মোদি তার যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী যেটা মোদির চরিত্র অনুযায়ী আসল সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই পরিবার বাদ, বংশবাদ পুরানো সমস্ত স্লোগান এগুলো।
বস্তা পচা কথাবার্তা সেইগুলো মার্কেটে আমদানি করছে অর্থাৎ স্বাধীনতা উৎসবে মোদি ভারতবর্ষের মানুষকে প্রতারণা করে ভারতবর্ষের মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করলো এবং এই আজকের এই স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ যে লালকেল্লা থেকে দেওয়া হয়। সেটা কি মোদি জি ভারতবর্ষের আগামী দিনের নির্বাচনের ভাষণের রূপান্তরিত করলেন মোদিজীর তিনটে ভরসা একটা হচ্ছে . সি বি আই, একটা হচ্ছে টেলিপমটার , আরেকটা হচ্ছে মিডিয়া, আজকে টেলিপম টা ছিল না আজকে লিখিত চোথা পড়ে উনি শুনিয়েছেন । হর ঘর তিরাঙ্গা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন – স্বাধীনতা দিবসে রাজ চক্রবর্তী প্রচেষ্টায় ব্যারাকপুরে উদ্বোধন হলো হাই মাস্ট এর
তিনি বলেন মোদি তিরাঙ্গা নিয়ে কোটি কোটি টাকার ঘোটালা করেছে আগামী দিনে মিলবে । তিরাঙা নিয়ে ঘোটালা হয়েছে। মোদি র কয়েকটা পার্টির লোককে তিরাঙ্গা বানানো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার কথা আসবে কি করে এরা তো কোনদিনও স্বাধীনতা মানে নি। এই স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল বিজেপি পার্টি, ইতিহাস বলে। যে সভারকর ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল ।
যে তদন্তে প্রকাশ যে নাথুরাম গডসে গান্ধীর হত্যাকারী সেই হত্যার পিছনে সাভারকারের প্রচ্ছন্ন মদত অন্যান্য ইন্ধন ছিল, সেই সাভারকারকে বিপ্লবী বানাতে মোদিদের চেষ্টা তো কোনদিন ত্রুটি হয়নি ।
অবাক হবেন না আগামী দিনের নাটুরাম গডসে র নামে মোদিরা স্লোগান দেবে এটাই বিজেপি এটাই ভারতবর্ষের আজকের সরকার।