সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ লাখিমপুর যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। আজ লাখিমপুরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। ওই দলে থাকবেন দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব ও আবীররঞ্জন বিশ্বাস।
এনিয়ে টুইট করে প্রতিবাদও করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতেই টুইট করে কৃষক পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। রবিবার এক টুইট করে লিখেছেন, লখিমপুরের নারকীয় ঘটনার নিন্দা করছি। দেশের কৃষকদের প্রতি বিজেপির এই মনোভাব আমাকে যন্ত্রণা দেয়। ওই ঘটনায় নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে আগামিকাল দেখা করবে তৃণমূলের ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল। কৃষকদের প্রতি সবসময় আমার সমর্থন থাকবে।
লখিমপুরকাণ্ডে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সেখানে যাবে বলে রবিবারই ট্যুইটে ঘোষণা করেছিলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। এদিন উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের তীব্র সমালোচনা করেন দোলা।
আর ও পড়ুন গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন?
পালটা বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, “ওখানে কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সেটা ওখানকার মানুষই বলতে পারবেন। তবে যেভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে সত্যকে সামনে আনা হচ্ছে না।” লখিমপুর কাণ্ডে বাড়ছে উত্তেজনা। আটক সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। আটক করা হয়েছে শিবপাল যাদবকেও।
লখিমপুর যেতে গেলে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে নিজের বাড়ির সামনেই ধরনায় বসলেন অখিলেশ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি মৃত কৃষকদের পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরি প্রদানের দাবিও জানিয়েছেন সপা নেতা।
লখিমপুরের ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ট্যুইট করে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে আজ সেখানে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যাবে বলেও জানান তিনি। সেই মতো সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও জিনিস নেই। এই ঘটনা নিন্দাজনক ও লজ্জাজনক।
স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের লজ্জা। কৃষকরা কৃষি বিল মানেননি। তাঁরা রাস্তায় আছেন, আইন হাতে তুলে নেননি। রাস্তায় অবস্থানরত কৃষকদের গায়ের ওপর দিয়ে মন্ত্রীদের গাড়ি চলে যাচ্ছে, এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে? এটা আমাদের লজ্জা যে আমরা মোদীবাবুর জমানায় বাস করছি।”