সাইকেলে কয়লা পাচার অব্যাহত খনি অঞ্চলে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কড়া পদক্ষেপে বন্ধ রয়েছে কয়লাখনি এলাকায় অবৈধ কয়লার কারবার। কিন্তু, চতুর কয়লা কারবারিরা বিভিন্নভাবে কয়লা পাচারের জন্য নতুন-নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। কখনও যাত্রীবাহী বাসে, কখনও খাদ্য সামগ্রীর গাড়িতে কয়লা পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বারেবারেই বেআইনি কয়লা কারবারিদের এই পন্থা পুলিশের চোখ এড়াতে পারেনি।
জামুড়িয়ায় বেশ কয়েকবার খাদ্য সামগ্রী গাড়িতে কয়লা পাচারের সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাচারকারীরা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে পুলিশ। কিন্তু, ভিন্ন চিত্র দেখা যায় পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার লাউদোহার ফরিদপুর থানা এলাকায়। খুব ভোর হতেই এই এলাকার কয়লা কারবারীরা সাইকেলে করে পাচার করছে টনটন কয়লা।
সূত্র মারফৎ জানা যায়, এক একটা সাইকেলের চার থেকে পাঁচ কুইন্টাল কয়লা পাচার হচ্ছে। পাণ্ডবেশ্বর এলাকার ইসিএল-এর বিভিন্ন খোলামুখ খনি থেকে টন-টন কয়লা চুরি হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে সাইকেলে করে অন্যত্র। এভাবেই সারি দিয়ে প্রত্যেক দিন প্রায় ১০০ সাইকেল কয়লা নিয়ে যাচ্ছে থানার একেবারে নাকের ডগা দিয়ে।
পাণ্ডবেশ্বর এলাকার স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, এই চুরির পিছনে ইসিএল-এর নিরাপত্তার গাফেলতি রয়েছে। এই চুরির জন্য দায়ী তারাও। পাশাপাশি সব জেনেশুনেও কিছু না দেখার ভান করছে একশ্রেণীর পুলিশ। এভাবেই তাদের মদতে প্রত্যেকদিন নিয়মিতভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে খনি অঞ্চল থেকে টন-টন কয়লা।
আরও পড়ুন – আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিমা ভাসানে বাড়লো শব্দবাজির দাপট
উল্লেখ্য, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কড়া পদক্ষেপে বন্ধ রয়েছে কয়লাখনি এলাকায় অবৈধ কয়লার কারবার। কিন্তু, চতুর কয়লা কারবারিরা বিভিন্নভাবে কয়লা পাচারের জন্য নতুন-নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। কখনও যাত্রীবাহী বাসে, কখনও খাদ্য সামগ্রীর গাড়িতে কয়লা পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বারেবারেই বেআইনি কয়লা কারবারিদের এই পন্থা পুলিশের চোখ এড়াতে পারেনি। জামুড়িয়ায় বেশ কয়েকবার খাদ্য সামগ্রী গাড়িতে কয়লা পাচারের সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাচারকারীরা।