দক্ষিন 24 পরগণা – দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক ব্যক্তির গণপিটুনিতে মৃত্যু চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। মৃতের নাম রঞ্জিত মণ্ডল, বয়স ৩৫ বছর। অভিযোগ, তিনি সাইকেল ফেরত না দেওয়ার কারণে বেধড়ক মারধরের শিকার হন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল দাবি করছে, আইন নিজের পথে চলবে।
ঘটনাটি সোনারপুর থানা এলাকার সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলা অঞ্চলে ঘটে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্তোষ জানা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় রঞ্জিত মণ্ডল তাঁর দোকানে এসে সাইকেল নিয়ে যেতে চান, কারণ তিনি অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ওষুধ আনবেন। রঞ্জিতকে সাইকেল দেওয়া হয়, কিন্তু দুই ঘণ্টা পর তিনি সাইকেল ফেরত আনেননি। সন্তোষ জানতে চাইলে রঞ্জিত অস্বীকার করেন। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নারায়ণ রায়।
এরপর বিবাদ বাড়তে থাকে। অভিযোগ, রঞ্জিত অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রঞ্জিতকে প্রথমে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। সিপিএমের আইনজীবী নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, গণপিটুনিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের জড়িত থাকার ঘটনায় পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, আইন নিজের পথে চলবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সোনারপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবীন সর্দারও জানান, একজন পঞ্চায়েত সদস্য গ্রেফতার হয়েছে এবং প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। পুলিশ ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি।
