বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক সারলেন শান্তনু ঠাকুর, কী হলো বৈঠকে? । মতুয়াদের অবহেলার অভিযোগ তুলে গতকালই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপর এদিন বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক সারলেন শান্তনু ঠাকুর। সুত্রের খবর, ঠাকুরবাড়িতে গোপন এই বৈঠক বসে।
গতকাল বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তারপরেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্যের মাধ্যমে সরব হন তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মতুয়া ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে এই বৈঠক যথেষ্ট তাতপর্যপূর্ণ বলেমনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপির পাঁচ বিধায়কম বনগাঁ ও গোবরডাঙ্গা এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা নেত্রীর সঙ্গে যোগসাজস রেখে চলেছেন বলে সুত্রের খবর।
এদিনের বৈঠকে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দিক এবং বিজেপির মতুয়াদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলে বলে সুত্রের খবর। যদিও বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি কেউই। তবে শান্তনু ঠাকুরের বিদ্রোহ ঘোষণার পরেই এই বৈঠক যে বিজেপি ছাড়ার ব্যাপারে একরকম সিলমোহর তেমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। এদিকে শান্তনু ঠাকুর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
আর ও পড়ুন রাজ্যের করোনা বিধি নিয়ে যা বললেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
জানা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠকুরকে ফোন করেছেন তিনি। মতুয়াদের অবহেলা নিয়ে কথা হয়েছে দুই জনের মধ্যে। মঙ্গলবার সন্ধেয় ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু ঠাকুরের পরেই বিজেপিতে চিন্তার ভাঁজ প্রকট হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক।
বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। এরা সকলেই মতুয়া ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মতুয়াদের অভিযোগ ছিল, ভোটের সময় মতুয়াদের ব্যবহার করা হয়। দলের সাংগঠনিক পদে তাদের বসানো হয় না।
অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, ‘এখন থেকে মতুয়ারা আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না। এরপর বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে সোমবারই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।