এই পৌর নির্বাচনে সারা বাংলায় বিপুল ভাবে জিতবে বিজেপি, মুকুল রায়, ফের বেফাঁস মুকুল রায়। এবার অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে সব পৌরসভা নির্বাচন বিজেপি জিতবে বলে দাবি করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। বাবার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু। বললেন, ‘কোথাও কী বলছে, কী করছে, নিজেও বুঝতে পারছে না। মানসিক অবস্থা ঠিক নেই’। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে যদি পাবলিক অ্যাকাউন্স কমিটিতে থাকতে না চাইলে দল বিবেচনা করবে’।
রাতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ব্য়াখ্যা দিলেন, মুকুল রায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। কখন কী বলছেন নিজেও জানেন না। শুক্রবার বোলপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুকুল রায় বলেন,”এই পৌর নির্বাচনে সারা পশ্চিমবাংলায় বিপুল ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।” পিছন থেকে একজন ধরিয়ে দিলেন, ‘তৃণমূল’। মুকুলের স্বগতোক্তি,”তৃণমূল তো বটেই। ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।” দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন পাশে দাঁড়ানো অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে মুকুলকে সেখান থেকে নিয়ে যান তিনি। খবর ছড়াতেই রাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল।
তিনি বলেন,”আজকে মুকুল রায় বোলপুরে এসেছিলেন। আমি বাইরে ছিলাম। ৩টেয় সার্কিট হাউসে ডাকলেন। আমি গেলাম। মুকুলদা আর সে মুকুল রায় নেই। মুকুল রায় ভারসাম্য় হারিয়ে ফেলেছেন। উনি যে কথা বলেছেন সবটাই অসুস্থতার কারণে। সুস্থ হোন এটাই ঈশ্বরের কাছে চাইছি। কখন কী বলছেন নিজেও জানে না। নইলে আমায় বলে, এই মাঠটা কিনে মেলা করছিস। আর ওই ডাকবাংলোর মাঠে অনেক মিটিং করে গিয়েছেন।” মুকুলের এমন বক্তব্য নিয়ে খবর না করার অনুরোধও করেন কেষ্ট। তিনি জানান,”ভারসাম্য় হারিয়ে ফেলেছেন। সোডিয়াম, পটাশিয়াম শর্ট আছে।
আর ও পড়ুন ২২ বছর পর দেখা মিলল ‘হেঁটে বেড়ানো’ একটি বিরল মাছের
তাই অনুরোধ করব যে দলের হোক না দেখানো ভাল নয়। ফ্যামিলি খুব টেনশনে পড়েন।” তবে মুকুল নাকি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে বিজেপি আর কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসছে না! অনুব্রত জানান,”আমি জিজ্ঞেস করি, ২৪-এ কী হবে? মুকুল রায় পরিষ্কার বলেন, ২৪-এ গোটা ভারতবর্ষ থেকে শেষ হয়ে যাবে বিজেপি। আমি বললাম কী বলছ? বলল, তুই লিখে রাখ। সোডিয়াম,পটাশিয়াম শর্ট হলে ৬ মাস ভুলে যায় লোকে। মুকুল রায়ের কথা ধরবেন না।”
এদিন বোলপুরে পৌষমেলায় যান মুকুল রায়। তখন সার্কিট হাউস থেকে বেরোচ্ছেন। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল-সহ জেলার তৃণমূল নেতারা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় একথা বলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন মুকুল। ভোটের ফলপ্রকাশের পর ১১ জুন ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে যোগ দেন তাঁর পুরানো দল তৃণমূলেই। এর আগে ৬ অগাস্ট কৃষ্ণনগরে গিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, তৃণমূল পর্যুদস্ত হবে এবং এই কৃষ্ণনগরে নিজেদের স্বমহিমায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি। নিজের ক্ষমতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে’।
উল্লেখ্য, এই পৌর নির্বাচনে সারা বাংলায় বিপুল ভাবে জিতবে বিজেপি, মুকুল রায়, ফের বেফাঁস মুকুল রায়। এবার অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে সব পৌরসভা নির্বাচন বিজেপি জিতবে বলে দাবি করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। বাবার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু। বললেন, ‘কোথাও কী বলছে, কী করছে, নিজেও বুঝতে পারছে না। মানসিক অবস্থা ঠিক নেই’। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে যদি পাবলিক অ্যাকাউন্স কমিটিতে থাকতে না চাইলে দল বিবেচনা করবে’।রাতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ব্য়াখ্যা দিলেন, মুকুল রায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
কখন কী বলছেন নিজেও জানেন না। শুক্রবার বোলপুরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুকুল রায় বলেন,”এই পৌর নির্বাচনে সারা পশ্চিমবাংলায় বিপুল ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।” পিছন থেকে একজন ধরিয়ে দিলেন, ‘তৃণমূল’। মুকুলের স্বগতোক্তি,”তৃণমূল তো বটেই। ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।” দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন পাশে দাঁড়ানো অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে মুকুলকে সেখান থেকে নিয়ে যান তিনি। খবর ছড়াতেই রাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল।