সারের কালোবাজারি বন্ধ করার দাবি সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ। ভরা এই চাষের মরশুমে সারের কালোবাজারি বন্ধ করার দাবি সহ বিভিন্ন দাবিতে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস চত্বরে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিল অগ্রগামী কিষাণ সভা। বুধবার এই বিক্ষোভ- ডেপুটেশন কর্মসূচি পালিত হয়। এদিন এই বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের নেতা আব্দুর রউফ, গোপাল দেবনাথ, অজয় রায়, মনীন্দ্রনাথ বর্মন প্রমূখ। এদিন এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। কৃষক সংগঠন নেতৃত্ব জানান কৃষক স্বার্থে তাদের এই আন্দোলন চলবে।
এদিনের এই বিক্ষোভ চলাকালীন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে রবি চাষের মরশুম, বোরো ধান, পাট, তামাক, ভুট্টা চাষের মরসুম। এই চাষে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সারের দরকার। অথচ বাজারে সারের কালোবাজারি চলছে। প্রতি বস্তা যে সারের দাম ১৪৬০ টাকা, সেই সার ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকায় কৃষকদের কিনতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি তারা বলেন, গ্রামে গঞ্জে এক’শ দিনের কাজ বন্ধ। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে যে টাকা এনেছে, তার হিসেব দিচ্ছে না। এক বছর আগে কাজ করেও এখনো পর্যন্ত সেই এক’শ দিনের কাজের মজুরি মেলেনি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। বক্তাগণ বলেন, মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চলে আবাস যোজনার সার্ভে শুরু হয়েছে। আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা পঞ্চায়েতরা তাদের ভয় দেখিয়ে তালিকাতে বিত্তবানদের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে প্রকৃত গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিন দিনহাটা 2 নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জের বিডিও অফিসে বিডিও রস্মি দীপ্ত বিশ্বাসের হাতে দাবিপত্র তুলে দেওয়ার সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। বিডিও-র তরফ থেকে সমস্যাগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন। এর আগে সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে জমায়েত হয়। এরপর সেখানে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়।