১৩২৭ বঙ্গাব্দে শুরু হওয়া এই পুজো সার্বজনীন হয়ে ওঠার গল্পসার্বজনীন। কোচবিহার রাজার আমলে ১৩২৭ বঙ্গাব্দে শুরু হয় এই পুজো। সেই থেকে শুরু। আর থমকে দাঁড়ায়নি। সেই সময় পুজোর সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা আর আজ কেউ নেই। তবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের ছেলে-মেয়েরা অনেকেই আছেন।
স্বাধীনতার আগে জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সামনে রেখে এই পুজো শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন রকমের রীতি ও প্রথা মেনে নির্দিষ্ট নিয়মে পুজো করা হয়ে থকে। তবে পরে জমিদারবাড়ির আঙিনা থেকে বের করে পুজোকে সার্বজনীন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে এই সর্বজনীন পুজোর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তার এবার ১০২ বছর।
তবে মূল পুজো আসলে কত বছর আগে চালু হয়েছিল তা কেউ জানে না। ২ বছর আগে শততম বর্ষে পদার্পণ করেছে চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোগডাবরি তেঁতুলতলা দুর্গোৎসব কমিটি। দীর্ঘ একশো বছর ধরে একই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে এই পুজো। ভোগডাবরি তেঁতুলতলা দুর্গোৎসব কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, একশো বছর আগে এই পুজো শুরু করার উদ্দেশ্য ছিল সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জমিদারবাড়ির আঙিনা থেকে তাই বারোয়ারি মণ্ডপে নিয়ে আসা হয় দুর্গাকে।
আর ও পড়ুন আগামীকাল থেকে রাজ্যে ফের ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি, এই তিন জেলার জারি হলো হলুদ সতর্কতা
বিভিন্ন রকমের রীতি ও প্রথা মেনে নির্দিষ্ট নিয়মে পুজো করা হয়ে থকে।তার মধ্যে একটি হলো সিঁদুর খেলা। বহু দূর থেকে মহিলারা আসেন সিঁদুর খেলতে। এছাড়া দশমীর দিনই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া এখানকার রীতি। কোনও অবস্থাতেই এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয় না।
পুজোয় কখনওই থিমের বাড়াবাড়ি করা হয় না। তবে আধুনিকতার সঙ্গে সাজুয্য রেখে পুজোর মণ্ডপ করা হয়। রথযাত্রাতেই খুঁটি পুজো করা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার আগে জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সামনে রেখে এই পুজো শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন রকমের রীতি ও প্রথা মেনে নির্দিষ্ট নিয়মে পুজো করা হয়ে থকে। তবে পরে জমিদারবাড়ির আঙিনা থেকে বের করে পুজোকে সার্বজনীন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে এই সর্বজনীন পুজোর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তার এবার ১০২ বছর। তবে মূল পুজো আসলে কত বছর আগে চালু হয়েছিল তা কেউ জানে না।
গত ২ বছর আগে শততম বর্ষে পদার্পণ করেছে চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোগডাবরি তেঁতুলতলা দুর্গোৎসব কমিটি। দীর্ঘ একশো বছর ধরে একই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে এই পুজো।