সার্ভার বিভ্রাটের জেরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বাদুড়িয়া শতাধিক উপভোক্তা। রাজ্য সরকারের পোর্টালে সার্ভার বিভ্রাটের জেরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বাদুড়িয়া শতাধিক উপভোক্তা ।দ্রুত সমাধানের আশ্বাস বিডিওর। লক্ষ্মীর ভান্ডার পোর্টালে সার্ভার বিভ্রাটের জেরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বাদুড়িয়ার উপভোক্তারা। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া ব্লকের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৪৮ হাজার ৯১২ জন উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে।
তাদের মধ্যে অধিকাংশই লক্ষীর ভান্ডারের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু বেশ কিছু উপভোক্তা টাকা পাচ্ছেন না। তারা জানান আবেদন করা সত্ত্বেও তারা টাকা পাচ্ছেন না। এব্যাপারে বাদুড়িয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুপর্ণা বিশ্বাস জানান, লক্ষ্মীর ভান্ডার পোর্টালে সার্ভার বিভ্রাটের জন্যই এই সমস্যা। অর্থাৎ দুই উপভোক্তা অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও ব্যাংক ডিটেইলস সার্ভারের ভুলের জন্য এক হয়ে গিয়েছে।
সেই উপভোক্তারাই মূলতঃ সমস্যায় পড়েছেন। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নং এক হয়ে যাওয়ার নজির পাওয়া গেল বাদুড়িয়া ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতের ১৫৮নং বুথের স্বপ্না সেন, তিনিও অন্য পাঁচজনের মতো লক্ষ্মী ভান্ডারে আবেদন করেছিলেন।
সবার টাকা ঢুকলেও ওনার টাকা ঢুকছিল না। তিনি বিডিও অফিসে অভিযোগ জানিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে তার অ্যাকাউন্টের টাকা ঐ পঞ্চায়েতেরই উপপ্রধানের স্ত্রী ইরানি ইয়াসমিনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু উপপ্রধান হাসানুর জ্জামান এই অভিযোগের ভিত্তিতে বলেন, “তিন মাসের যে টাকা ঢুকেছে সেটা আমার স্ত্রীর লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা।
আর ও পড়ুন শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে দুয়ারে বিধায়ক
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে এর জন্য কেউ দায়ী নয়। কংগ্রেসের কিছু কর্মী তৃণমূলে এসে কিছু যোগসাজশ করে জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে কালিমালিপ্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সম্পূর্ণ সমস্যাটাই বিডিওকে জানিয়েছি। আমার স্ত্রীর কাছে তিন মাসের যে টাকা ঢুকেছে তা প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।” তাই স্বপ্না সেন এই সমস্যা জানার পর বিডিওর কাছে লিখিত জানালে, বিডিও অফিস থেকে বলা হয় এটা পোর্টালের সার্ভারের প্রবলেম।
দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। এই ঘটনা শুধুমাত্র জগন্নাথপুর পঞ্চায়েতেই নয়। বাদুড়িয়া ব্লকের চাতরা, চন্ডিপুর, শায়েস্তানগর ও যদুরহাটি সহ একাধিক পঞ্চায়েতের দুই ভিন্ন উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট নাম্বার এক হয়ে গিয়েছে। যার ফলে টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। সেগুলিকে বিডিও অফিস থেকে অফিস থেকে চিহ্নিত করে জেলায় পাঠানো হয়েছে এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।