কলকাতা – ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন চারজন অফিসার ও এক ডেটা এন্ট্রি কর্মীর সাসপেনশনের নির্দেশ দিলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন— নবান্ন এই নির্দেশ মানবে না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমার অফিসারদের কাউকেই সাসপেন্ড করব না।” এই অবস্থান থেকে তিনি সরছেন না, আর কমিশনও অনড়। শুক্রবার মুখ্য সচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে কমিশন পুনরায় সাসপেনশনের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং সোমবার বিকেল ৩টার মধ্যে রিপোর্ট চায়।
কমিশন সূত্রে খবর, এই চার অফিসারকে সাসপেনশনের সুপারিশ কেবল ‘নমুনা’ মাত্র। ভোটার তালিকায় ফর্ম-৬ আবেদনের নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অন্তত ২৫ জন ইআরও ও এআইআরও-কে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের অনেকেই ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার। অভিযোগ, কমিশনের বারবার সতর্কবার্তাও তারা উপেক্ষা করেছেন।
সিইও দফতরের মতে, প্রথম দফায় চারজনের নাম পাঠিয়ে সরকার কী অবস্থান নেয় তা বোঝার চেষ্টা করছে কমিশন। সরকারের স্পষ্ট অসহযোগিতা বুঝে তারা ইতিমধ্যেই দিল্লির মূল দপ্তরে নোট পাঠিয়েছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১২ সালের নিয়ম অনুযায়ী কমিশনের সুপারিশ মানতে রাজ্য বাধ্য, কারণ নির্বাচনকালীন সময়ে ডেপুটেশনে থাকা কর্মীরা কমিশনের অধীন বলে গণ্য হন। প্রয়োজনে কমিশন এফআইআর দায়েরের ক্ষমতাও রাখে।
সাসপেনশনের তালিকায় রয়েছেন বারুইপুর পূর্বের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, এআইআরও তথাগত মন্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এআইআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিত হালদার। এখন নজর সোমবারের দিকে— নবান্ন এই নির্দেশ মানে কি না, নাকি সংঘাত আরও তীব্র হয়।
