বিহার – উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার কুতুবপুর কুসেনি গ্রামে মাত্র পাঁচ মাসের শিশু ঈশিকার নির্মম হত্যাকাণ্ড চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে পারিবারিক জটিলতা ও এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের চিত্র, যার কেন্দ্রে ছিলেন শিশুটির দাদি সরিতা। অভিযোগ অনুযায়ী, অবৈধ সম্পর্ক গোপন রাখতে এবং পুত্রবধূ শিবানীকে দোষী প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে সরিতা নিজের নাতনিকে খুন করেন।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে সরিতা বলেন, “ভোর চারটায় ব্লেড দিয়ে নাতনির গলা কেটেছি, যাতে শিবানীকে দোষী করা যায়।” জানা যায়, তার স্বামী (শিশুটির দাদু) ব্লেড সরবরাহ করেন এবং শ্যালিকা (শিশুটির খালা) সেই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিলেন।
শিবানীর অভিযোগ, গর্ভাবস্থায় একদিন তিনি তার শাশুড়িকে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। সেই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়েই সরিতা শিবানীকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন।
ঘটনার দিন, বুধবার ভোরে শিশুটির মুখ চেপে ধরে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এই নিষ্ঠুরতায় পরিবারের আরও দুই সদস্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই চক্রান্ত উদ্ঘাটিত হয় এবং সরিতা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা পারিবারিক কলহ, অবৈধ সম্পর্ক এবং নৈতিক অবক্ষয়ের এক চরম উদাহরণ। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও শিবানীর দৃঢ় অবস্থান এবং পুলিশি তদন্ত ষড়যন্ত্রের আসল রূপ প্রকাশ করেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
