‘সিঁদুর দেখে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, আমি কি হিন্দু হয়ে গেলাম?’

‘সিঁদুর দেখে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, আমি কি হিন্দু হয়ে গেলাম?’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিয়ের পর প্রথম দিন সংসদে গিয়ে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান
। শাড়ি, মেহেন্দি, সিঁদুর পরে যখন শপথ নিচ্ছিলেন ফোকাস ছিল তাঁর দিকেই। দিন কয়েক আগে তুরস্কের বোদরুমে নিখিল জৈনকে বিয়ে করেছেন নুসরত। সে কারণেই প্রথম দিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিয়ের পর সাজপোশাকে নিজেকে কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ রাখেননি তিনি। সে কারণেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সিনেমা, রাজনীতি, বিয়ে— জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন নুসরত।

সদ্য নিউজএইট্টিনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নুসরত বলেন, ‘‘আমার মাথায় সিঁদুর দেখে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, আমি কি হিন্দুকে বিয়ে করে হিন্দু হয়ে গেলাম? আমার তো মনে হয় কোন ধর্ম অনুসরণ করব, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। আমি জন্মসূত্রে ইসলাম। সেটাই অনুসরণ করছি। কিন্তু সব ধর্ম এবং তার নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। আমি এবং আমার স্বামী আমাদের ধর্ম পালন করছি। আমার তো মনে হয় এটাই স্বাভাবিক।’’

অভিনয় জীবনে বেশ কয়েকবার ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন নুসরত। সংসদের প্রথম দিন থেকেও ট্রোলিং-এ জড়িয়ে গেল তাঁর কেরিয়ারে। তবে এ সব ঘটনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ নায়িকা। নুসরতের কথায়, ‘‘আমি যে কতবার ট্রোলড হয়েছি, তার কোনও হিসেব নেই। আমার তো মনে হয় ট্রোলিং ভালবাসারই ভিন্ন প্রকাশ। আসলে এ সবই মানুষ করেন দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। মনোযোগ না পেলেই ট্রোলিং শুরু করেন। জীবনে নেগেটিভিকে কখনও গুরুত্ব দিইনি। কাজই সব সময় আমার হয়ে কথা বলেছে। এ বারও তাই হবে।’’

ওই দিন সংসদে ঢোকার আগে সিঁড়িতে প্রণাম করেছিলেন নুসরত। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলে বা পরিবারে তিনি সেই শিক্ষাই পেয়েছেন। কাজ তাঁর কাছে পবিত্র জিনিস। সংসদে নতুন পথ চলা শুরুর আগে তাই শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। মমতার লড়াকু মনোভাবকে তিনি কুর্নিশ জানিয়েছেন।

ইতিহাস বলছে, এর আগে অভিনেতা-রাজনীতিবিদদের সংসদে হাজিরা কম। তাঁরা সংসদের প্রশ্নোত্তরেও বিশেষ অংশ নেন না। কিন্তু নুসরত দাবি করলেন, তিনি ব্যতিক্রম। ‘‘আমার লোকসভা এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি আমি। ওদের সাহায্য দরকার। তাই সংসদের কাজে আমি অংশ নেবই। ওদের যখনই সাহায্য প্রয়োজন, আমি আছি।’’

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top