সিউড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিক করল তৃণমূল। পরপর তিনবার বীরভূমের সিউড়ির কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে জয় লাভ করে হ্যাটট্রিক করল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত প্রার্থীরা। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও কিছু মাস পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে । ইতিমধ্যে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি পরীক্ষা করে নিতে। কিন্তু তার আগেই বীরভূমের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ল রামবামের নতুন সমীকরণ সংগঠন।
কিন্তু এদের সমীকরণ এতটাই দুর্বল যে সামান্য কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে রামরাম জোট প্রার্থী দিতে পারল না। প্রত্যাশিতভাবে একতরফা জয় পেল তৃণমূল প্রভাবিত প্রার্থীরা। বিজেপি নেতাদের কথা শুনেও নিচু তলায় রামবাম একসাথে জোট করেও প্রার্থীদের পারলো না সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে । যার জেরে বিজেপি সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্দশা চিত্র প্রকট হল বীরভূমে ।
বুধবার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের পরিচালন কমিটি নির্বাচনে মনোনয়ন শুরু হলে তৃণমূল প্রভাবিত মোট চারজন মনোনয়ন পেশ করে , বৃহস্পতিবার বাকি পাঁচজন নিজের মনোনয়ন জমা দেয় , কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে দেখা মেলেনি কোন বিরোধী দলের প্রার্থীদের। কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের এক আধিকারিকের নেতৃত্বে এই ভোট পরিচালনা হচ্ছে। গত ২০১২ সালে প্রথম বাম প্রভাবিত বোর্ডকে সরিয়ে তৃণমূল প্রভাবিত বোর্ড গঠন হয়। পুনরায় ২০১৭ সালেও তৃণমূল প্রভাবিত বোর্ড তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের নিদান!
সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সমবায় সমিতির সদস্যরা এই নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাঁরাই সমবায় পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান, ভাইস বিদায়ী চেয়ারম্যান সহ ন’জন কমিটির সদস্যদের নির্বাচন করবেন। সেখানে প্রায় ৩৫০ জন ভোটার রয়েছেন। সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট আগামী ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ ওই সমবায়ের নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা নুরুল ইসলাম বলেন,” আমাদের প্রার্থীরা এদিন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
” তবে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কেন মনোনয়ন দাখিল করা হল না এদিন তা স্পষ্ট নয়৷ বীরভূম জেলার সভাধিপতিবিকাশ রায়চৌধুরী বলেন , আমরা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছি বীরভূমে বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যেমন অবস্থা ছোট্ট মাত্র নয় আসনের সমবায় ব্যাংকে নির্বাচনে তারা নিজেদের প্রার্থী দিতে পারছে না। এর থেকেই বোঝা যায় মঞ্চে গরম গরম বক্তব্য দিয়ে শুধু টিভির পর্দায় টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে।