সিঙ্গাপুরের মতো দিঘাতেও আন্ডারওয়াটার পার্ক। সিঙ্গাপুর অথবা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের মত এবার দিঘাতেও গড়ে উঠতে চলেছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার পর্যটনের উন্নয়নের জন্য দিঘাকে সাজিয়ে তুলেছেন বিশ্বমানের করে। তার পাশাপাশি এবারে তৈরি হচ্ছে সাবমেরিন মিউজিয়াম। সেই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমুদ্রের নিচের প্রাণী জগৎ চেনার জন্য সিঙ্গাপুরের আদলে আন্ডার ওয়াটার পার্ক।
রাজ্য সরকারের অধীনস্থ হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ সংস্থাগুলির কাছ থেকে গ্লোবাল এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট বা ইচ্ছাপত্র আহ্বান করেছে। এখনো পর্যন্ত ভারতের কোথাও এই ধরনের আন্ডার ওয়াটার পার্ক নেই।
দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইতে সাবমেরিন মিউজিয়াম থাকলেও আন্ডার ওয়ার্ডার পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি সেখানকার সরকার।
তবে আদানি গোষ্ঠী পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করার কাজ যখন খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে চলেছে, সেই সময় দিঘাকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় গড়ে উঠতে চলা আন্ডার ওয়াটার পার্ক যে নতুন মাইলস্টোন হতে চলেছে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন – চোপড়ার শীতল গছে বন কালি পূজা উপলক্ষে জমে উঠেছে গানের আসর
হিডকো সুত্রে জানা গিয়েছে ভারতের প্রথম এই আন্ডার ওয়াটার পার্কে জলের নিচে কাঁচের তৈরি একটি অ্যাক্রেলিক টানেল থাকবে যেখান থেকে পর্যটকরা ট্রাভেলেটার বেল্টের সাহায্যে সমুদ্রের নিচের রহস্যে মোড়া প্রাণী জগৎ দেখতে পাবেন খুব অল্প খরচে। বর্তমানে ওল্ড দিঘাতে একটি মেরিন মিউজিয়াম রয়েছে যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক যান সমুদ্রের প্রাণী এবং উদ্ভিদ জগত চেনার জন্য।
পাশাপাশি হিডকো সূত্রে জানা যায়, তাড়াতাড়ি যেমন দীঘায় প্রস্তাবিত ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হতে চলা জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে তার পাশাপাশি এই আন্ডার ওয়াটার পার্ক তৈরি হলে তা হতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক বেশি সংখ্যক পর্যটক টেনে আনবে বাংলাতে।