রাসমেলা করার সিদ্ধান্ত নিলো কোচবিহার জেলা প্রশাসন

রাসমেলা করার সিদ্ধান্ত নিলো কোচবিহার জেলা প্রশাসন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
সিদ্ধান্ত

রাসমেলা করার সিদ্ধান্ত নিলো কোচবিহার জেলা প্রশাসন।  কোচবিহারের সবথেকে বড় উৎসব রাস-উৎসব। আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে ১৫ দিনের জন্য পুরোনো ধাঁচের শুরু হতে চলেছে কোচবিহারের রাসমেলা।কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন বাড়িতে এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে মদনমোহন বাড়ি সংলগ্ন মাঠে বসে রাশের মেলা।

 

করোনার কারণে গতবছর ২০০ বছর পরে এই মেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। পরিবর্তে ছোট করে দুই ভাগে করা হয়েছিল শিল্প মেলা। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ভারতের সর্ববৃহৎ এই মেলাকে কেন্দ্র করেই বকসিরহাট থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ ভিড় জমান এবং দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেন এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, মেঘালয়, মনিপুর থেকেও প্রচুর দোকান আসে এই রাসমেলায়।

 

কিছুটা হলেও করোনার প্রকোপ কমতেই এবার রাস মেলা হচ্ছে আবার তার পুরনো ধাঁচেই। কোচবিহার জেলা শাসক দপ্তরে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাস উৎসব মদনমোহন বাড়িতে হলেও রাস মেলা পরিচালনা করে কোচবিহার পৌরসভা ‌।

 

আর ও পড়ুন     এই বছরের জগদ্ধাত্রী পুজোর নির্ঘণ্ট জেনে নিন

 

কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক মিনা তর জানান – জেলাশাসকের দপ্তরে জেলাশাসক সদর মহকুমা শাসক ও অন্যান্য আধিকারিক এর উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সমস্ত করোনা বিধি মেনে রাসমেলা পূর্ণরূপ ফিরে পাচ্ছে। এই রাসমেলায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই প্রসঙ্গে মিনা তর বলেন – পুরনো ধাঁচের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন পৌরসভার পক্ষ থেকে নেওয়া হবে বাড়তি দায়িত্ব যাতে কোনো মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন না হন।

 

স্বভাবতই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় একদিকে যেমন খুশি কোচবিহারের সাধারণ মানুষ সেই সাথে দীর্ঘদিন করোনার কারণে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা মেলায় ব্যবসা করেন তারাও নতুন করে আশার আলো বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে ১৫ দিন চলবে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার প্রশাসক মিনা তর।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top