সিভিক ভলেন্টিয়ারে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য আবেদন। বিষয়টি নজরে আসতেই এক বেসরকারি সংস্থার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুরাতন মালদা সাহাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। শাসকদলের মদতে এই ধরনের প্রতারণা ছকের বাড়বাড়ন্ত বলে অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না যার ফলে গ্রেফতার হচ্ছে পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
১০০শতাংশ নিশ্চিত চকুরি এমন বিজ্ঞাপন ও প্রচারপত্র বিলি করে জমিয়ে বসেছিল ছিল জালিয়াতির কারবার। গত ছয় বছর ধরে মালদা জেলার বুকে পুলিশ প্রশাসন দপ্তরের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চলছিল সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের নামে ফাঁদের কারবার। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রাজ্য পুলিশ দপ্তরের সিভিক ভলেন্টিয়ারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই নজরে আসে জেলার পুলিশ কর্তাদের। শুরু হয় তদন্ত।
আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ জেলার পুলিশকর্তাদের। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজ্য পুলিশ দপ্তরে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভয়েস রেকডিং এর এমন বিজ্ঞাপন সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসন। তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয় এই কারবারের এক পান্ডা সুমন্ত গুপ্তকে।
আর ও পড়ুন টাকি রোডে নজরে সিসিটিভি, নাকা চেকিংয়ে গাঁজা ফেনসিডিল আটক
মালদা থানার পুলিশ সুমন্ত গুপ্তকে গ্রেপ্তার করে শুরু করেছে জেরা। রাজ্য জুড়ে এই প্রতারনার কারবার ছড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান পুলিশকর্তাদের। সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কেবল এই জেলাতে নিয়োগ হবে তা নয়। রাজ্য জুড়েই নিয়োগ হবে উল্লেখ রয়েছে এমনই। আর তাতেই তদন্তকারী পুলিশকর্তারা মনে করছেন এই কারবারে রয়েছে আরো বেশ কয়েকজন। খোঁজ চলছে তাদেরও।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আর কারা কারা এই প্রতারণা চক্র জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত সুমন্ত গুপ্ত জানান তিনি নির্দোষ। শিলিগুলির বাসিন্দা জয়ন্ত প্রামাণিকের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েছিলেন।তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের অনুমান বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিণের আড়ালেই চলত এই কারবার।
এই ঘটনার সামনে আসতেই শাসক দলকে বিঁধেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, শাসক দলের মধ্যেই এই ধরনের ভুয়া সংস্থা গজিয়ে উঠছে। কেবলমাত্র ওই এলাকার নয় জেলা জুরে এই ধরনের প্রতারণা চক্রের ফাঁদ পাতা হয়েছে।
যদিও বিজেপির অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,স্বচ্ছ মমতা ব্যানার্জীর প্রশাসন। সক্রিয় পুলিশ। তাই প্রতারনা চক্রটি ধরা পড়ে এবং গ্রেপ্তারও হয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের ঘটনাকে কখনোই প্রশ্রয় দেয় না।