উত্তর 24 পরগণা – উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার নেজাট থানার সেহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের নৃত্যবেরিয়া গ্রামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
আক্রান্ত প্রশান্ত জানা (২৮) পেশায় নেজাট থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং তার বাড়ি সেহারা গ্রামে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৯শে জুলাই রাতের বেলা প্রশান্ত একটি কাজে নৃত্যবেরিয়া গ্রামে গেলে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা তাকে এক মহিলার সঙ্গে ঘরের অন্ধকারে অনৈতিক কাজ করছে বলে সন্দেহ করে। এরপর তাকে ধরে ফেলে এলোপাথাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি এবং চড় মেরে গণপিটুনি দেয়। শুধু তাই নয়, গণপিটুনির ছবি ও ভিডিও তোলা হয় এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রশান্ত জানাকে নেজাট থানার পুলিশ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রী মালতি জানা নেজাট থানায় স্বামীর ওপর পরিকল্পিতভাবে গণপিটুনি দিয়ে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নৃত্যবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল পাত্র, প্রশান্ত প্রধান ও অসীম মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
