সীমানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিতর্ক বাঁধলো এই দেশের ।সীমানা নিয়ে বিতর্ক বাঁধাল দুই দেশের। জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ সার্ভে অফ ভুটান এবং সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র একটি দল যৌথ ভাবে নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় একটি সমীক্ষা চালায়। সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল শিলং থেকে একটি রিপোর্ট ভুটান সরকারকে দিয়েছিল।
ওই রিপোর্ট উঠে এসেছে, দুই দেশের জিরো পয়েন্ট থেকে ভুটানের দিকের দেড় মিটার নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় ভারতের ১২ টি ইলেকট্রিক এবং টেলিফোন পোল রয়েছে।এরপরেই ভুটানের তরফে সেই পোল সরিয়ে নেবার আবেদন করা হয় আলিপুরদুয়ার জেলা শাসককে। ভারত-ভুটান সীমান্ত -এর ভুটানের প্রবেশদ্বারের মূল গেট থেকে ডানটাক পর্যন্ত এলাকা জিরো পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত।
সেই জিরো পয়েন্ট থেকে দুই দেশের দুই প্রান্তে দেড় মিটার করে এলাকা নো ম্যানস ল্যান্ড হিসেবে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা রয়েছে। ভুটান -এর দিকের নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় ভারতের ১২টি পোল থাকার জন্যই এই বিতর্ক। যদিও এই বিষয়ে দুই দেশই একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রেখে এক যোগে সহযোগিতার কাজ করছে।
হিমালয়ের দেশ ভুটান ও ভারতের প্রজাতন্ত্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলি ঐতিহ্যগতভাবে খুব ঘনিষ্ঠ এবং উভয় দেশ একটি বিশেষ সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছে। ভুটানের পররাষ্ট্র নীতি, প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্যের উপর ভারতের প্রভাব রয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারতের রাষ্ট্রপতির বাজেটে ভুটানকে দেওয়া সাহায্যের পরিমান ৬০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা ছিল।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভুটানকে ভারতের বৈদেশিক সাহায্যের সর্বাধিক সুবিধাভোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বছরে প্রায় ৯৮.৫ কোটি মার্কিন ডলার ( ৬১৬০ কোটি) ভুটানে পৌঁছায়। ভুটান এর প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে তাঁর নতুন দিল্লি ভ্রমণের সময় তার দেশের জন্য ৫৪০০ কোটির (চুক্তি সাক্ষরের সময়ে বিনিময় হার অনুযায়ী মার্কিন ১.৯ কোটি) একটি অতিরিক্ত সাহায্য প্যাকেজ পায়। ভুটানের ১১তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার জন্য এই পরিমাণের মধ্য থেকে ৪৫০০ কোটি নির্ধারিত করা হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পনার বাকি প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে ব্যায়ের জন্য ৪০০ কোটি ছিল।
অবশিষ্ট ₹৫০০ কোটি ভুটানের ধীর অর্থনীতির জন্য ভারতের অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজ-এর অংশ ছিল। ভারত ভুটানে ১,৪১৬ মেগাওয়াটের ৩টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালনা করে এবং ২,১২৯ মেগাওয়াটের আরও তিনটি নির্মাণ কাজ চলছে।
আর ও পড়ুন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ধরা পড়ল
ভুটান ইতিহাসের বেশিরভাগ অংশে, বাইরের জগত থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্নতা রক্ষা করেছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।ভুটান ১৯১০ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পর ব্রিটিশ ভারত থেকে একটি রক্ষাকবচ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে।