ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য তৈরি আমরা, বললেন সুকান্ত। আজ রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সুকান্ত মজুমদার। দায়িত্ব নিয়েই সংবর্ধনা মঞ্চ থেকেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর হুংকার দেন সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘নন্দীগ্রামে শুভেন্দুদা হারিয়েছিলেন। আর ভবানীপুরেও আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য মুখিয়ে আছি।’
এদিনের সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে ২০২৪ লোকসভা ভোটের সুরও বেঁধে দেন সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্ন দেখছেন, উনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমি বলছি, দিদি এই রাজ্য থেকে ৪২ টা আসন পেলেও আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। পরেরবারও নরেন্দ্র মোদীই প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটা বিধির বিধান। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, আগামী লোকসভা ভোটে আমরা এই রাজ্য থেকে আরও বেশি আসন নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেব।’
এছাড়াও এদিন দলত্যাগীদের বললেন, ‘যাঁরা দল থেকে চলে গিয়েছেন তাঁরা থাকলে ভালো হত, তবে চলে গেলেও আমাদের অসুবিধে নেই। তবে তাঁরা যদি আমাদের নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করেন তাহলে এখনও আসতে পারেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আর যদি নীতিতে বিশ্বাস না করেন, তাহলে আর ফিরে আসতে হবে না।’
আর ও পড়ুন ৫টি কাজ না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আপনার তর্পণ
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির শক্তি বাড়ানোর জন্য এই রাজ্যে আমাদের শক্তিশালী হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গকে আমাদের দলের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করেন সুকান্তবাবু। বলেন, ‘৫০০ টাকার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে। তখন করোনা বিধি ভাঙা হচ্ছে না। অথচ আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা মিটিং করতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনও আইন কাজ করছে না।’
এছাড়া এদিন মঞ্চ থেকে দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন ‘ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষেই এটা সম্ভব যে, কলকাতা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের একটি জেলা থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের কাউকে রাজ্য সভাপতি করা। এটা অন্য কোনও দলের পক্ষে করা সম্ভব নয়।’
