সুকান্ত মজুমদার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কি কথা বললেন ? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেন। জঙ্গলমহল নিয়ে সৌমিত্র খা এর মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত দলের মতামত আগেই স্পষ্ট করেছি আমরা বিশ্বাস করি যে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ কে তৈরি করেছিলেন পূর্ব-পাকিস্তান থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আমরা সেভাবেই দেখতে চাই। তবে এটা ঠিক আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত উন্নয়ন কলকাতা এবং তার আশপাশের 30 কিলোমিটার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। সে জন্য রাজ্যের বহু মানুষ বঞ্চিত। সেই বঞ্চনা থেকে এধরনের স্বর শোনা যায়।
জিটিএ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান নয় আমরা মনে করি জিটিএ পাহাড়ের সমস্যার সমাধান নয় পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করতে গেলে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কোন দেশে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছে সেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্যে পাহাড় কে আনতে হবে। বিমল গুরুঙ্গও কিছুদিন আগে বলেছিলেন জিটিএ সমস্যার সমাধান নয়।
আর ও পড়ুন একাধিক ইস্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
শুধুমাত্র সরকারি কোষাগার থেকে কিছু লোককে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকা তছরুপ করার জন্য জিটিএর মত structure তৈরী করা হয়েছে। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি। কারণ হাইকোর্ট থেকে যে রায় আমরা পেয়েছি তাতে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছিল। আমরা উচ্চতর আদালতে যাওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরেশ অধিকারীকে সংবর্ধনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি করে নিজের মেয়ের চাকরি নিয়েছেন এবং এই বিষয়ে তিনি খুব দক্ষ। বামফ্রন্টের আমলে তিনি যখন খাদ্য মন্ত্রী ছিলেন সে সময় বাড়ির তিন ভাইকে চাকরি দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই খাদ্য দপ্তরে চাকরি করেন। এখন মেয়েকে দিয়েছেন তৃণমূল ছাড়া শাসনে এমন লোককে সংবর্ধনা দেয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সংবর্ধনা না দিয়ে বই দেওয়া হলে ভালো হতো। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মতো কোন রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী টুয়েলভ পাস এটা শুনতে খারাপ লাগে। রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে বইটই দেওয়া উচিত। যাতে অন্তত গ্রাজুয়েশনটা হয়।