সুজিত বসুর অনুগামীদের রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সব্যসাচী অনুগামীদের বিরুদ্ধে

সুজিত বসুর অনুগামীদের রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সব্যসাচী অনুগামীদের বিরুদ্ধে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সুজিত বসুর অনুগামীদের রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সব্যসাচী অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সুজিত বসুর অনুগামীদের রাতের অন্ধকারে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ সব্যসাচী অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ৩। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ফেরার ২০ জনের বেশি দুষ্কৃতী। সল্টলেকের ত্রিনাথ পল্লীর ঘটনা।

 

অভিযোগ, গতকাল রাতে হঠাৎই সল্টলেকের ত্রিনাথ পল্লীর প্রাক্তন পৌরপিতা প্রবীর সরদার এবং এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। ঘরে ঢুকে সুজিত বসু অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করে সুজয় দাস, ঝন্টু, বিকাশ, কুখ্যাত দুষ্কৃতী পচা, আদু নামের বেশকিছু ব্যক্তি বলে অভিযোগ। মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বেশকয়েক জনের বলে দাবি। আক্রান্তদের দাবি, এই দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই বিধাননগর পৌরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত এবং এলাকার পৌরমাতা চামেলী নস্করের অনুগামী।

 

বিধাননগর পৌরণিগমের নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরে এই অভিযুক্তরা। তৃণমূলে যোগদানের পরই সুজিত বসু অনুগামীদের তাদের গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন্যে বারংবার জোর করে এই অভিযুক্তরা। তবে আক্রান্তরা গোষ্ঠী পরিবর্তনে অস্বীকার করায় রাতের অন্ধকারে তাদের উপর আক্রমণ করে সব্যসাচী দত্তের অনুগামীরা বলে আক্রান্তদের অভিযোগ। সন্ধ্যা দাসের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীদের। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ত্রিনাথ পল্লীর বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন – আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস

এই ঘটনায় বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত সুজিত অধিকারী, সন্তু মন্ডল, জয়ন্ত দাস। এরপরই এলাকায় মোতায়ন করা হয় বিধাননগর পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সুজয় দাসকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।

 

তবে এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ এলাকার পৌরমাতা চামেলী নস্কর। তার দাবি পৌরপ্রতিনিধির কোনও গোষ্ঠী হয়না। যারা এই ধরনের কাজ করেছে তারা প্রত্যেকেই সমাজবিরোধী। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। বলেও জানান চামেলী নস্কর।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top