কেমন আছেন জেলার প্রথম মহিলা মুচি সুজিয়া দেবিরাম, কেউ খোঁজ রাখে না

কেমন আছেন জেলার প্রথম মহিলা মুচি সুজিয়া দেবিরাম, কেউ খোঁজ রাখে না

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
সুজিয়া

কেমন আছেন জেলার প্রথম মহিলা মুচি সুজিয়া দেবিরাম কেউ খোঁজ রাখে না। শিশু থেকে শুরু করে বর্ষিয়ান মানুষ সবাই প্রতিদিন জুতোসহ পা এগিয়ে দিচ্ছেন তার দিকে। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি ইসলামপুর লিচু বাগানের বাসিন্দা সুজিয়া দেবী রাম বছর শার্টের এক মহিলা ,অর্থাৎ উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের প্রথম মহিলা মুচি ছোট-বড় সকলের জুতো খুলে তা মেরামত কখনো তা মেরামত বা পালিশ করে দিচ্ছেন।

 

এইভাবে তার নিজের ভরণপোষণ জোগাড় করতে করতে , এখন তিনি এক ক্লান্ত সৈনিক । তবুও জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলছেন তিনি । স্বামীর অবর্তমানে তার পুত্ররা থাকলেও তারা নিজেরা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, যার যার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তারা সেই ভাবেই করে নিয়েছে , সেখানে মা যেন ব্যর্থ উপকৃত ও অবহেলিত। যতদিন বেঁচে থাকবেন মা অর্থাৎ ইসলামপুরের প্রথম মহিলা মুচি কতদিন এভাবে জুতা পালিশ করে ও সেলাই করে পেট চালাতে হবে ।

 

তাই কারো ভরসায় না থেকে প্রতিদিন সকাল হলেই দোকানের ঝাঁপ খোলেন তিনি। আবার সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যা রোজগার হয় তা থেকে নিজের পেট চালানোর জন্য যা কিছু বাজার করার প্রয়োজন তা করেন তিনি। বাড়ি ফিরে ক্লান্ত হয় বুঝতে পারছেন বয়স বাড়ছে ।

 

আর ও পড়ুন    পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মহিলারা বেশি অসুরক্ষিত, বললেন দিলীপ ঘোষদেবিরাম

 

সারাদিন কাজ করতে করতে ক্লান্ত শরীর কখনো কখনো থমকে যায় তবুও পেট চালাতে গিয়ে কারো ভরসা না করে যত দিন বাঁচবেন এভাবে কাজ করে যেতে চান । দীর্ঘ ২৬ বছর থেকে কাজ করছেন তিনি এভাবে কাজ করছেন। দীর্ঘদিনের লড়াই কবে শেষ হবে তিনিও জানেন না ।

 

তবে মহিলা হলেও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় স্বামীর কাছ থেকে জুতো সেলাই এর পার্ট নিয়ে যেভাবে এখন যেভাবে আমি পূর্ণভাবে সেলাই মেরামত পালিশ গ্রাহকরা তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে এমন মুচির সংখ্যা খুবই কম । কেমন আছেন তিনি কেউ তার খোঁজ রাখেন না।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top