তপন কান্দুকে খুনের জন্য ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে সুপারি কিলার লাগিয়েছিল দাদা নরেন কান্দু।সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস.সেলভা মুরুগান।পারিবারিক বিবাদের জেরে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে খুন করানো হয়েছে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে।
নিহত তপন কান্দুর ভাই গ্রেফতার নরেন কান্দু এই খুনের ঘটনায় যোগাযোগ করেছিলেন আসিক খানের সঙ্গে । আসিক খান যোগাযোগ করেন ভাড়াটে খুনি কলেবর সিংয়ের সাথে । এরপরই কলেবর সিংয়ের এই ঘটনায় আরও কয়েকজন ভাড়াটে খুনির সাথে যোগাযোগ করে তপন কান্দুকে গুলি করে হত্যা ।
গোটা ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট চারজন । নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু, নিহত তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু, কলেবর সিং এবং আসিক খান । ঘটনায় আরও চারজন যুক্ত রয়েছেন এবং তারা ঝাড়খন্ড এবং বিহারে লুকিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার এস.সেলভা মুরুগান। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।পুরুলিয়া মফস্বল থানা ক্যাম্পাসের ক্ষনিকা গেস্ট হাউসে গতকালই সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েডেন জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান।
আর ও পড়ুন ব্যারাকপুর কমিশনারেট এর গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় গ্রেফতার এক দুস্কৃতী
এদিকে তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডকে পারিবারিক বিবাদ মানতে নারাজ জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।তিনি জানান এই খুনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ এবং ঝালদা পৌরসভার বোর্ড গঠন।তিনি ঝালদা থানার আই সির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলে বলেন পুলিশের মদত ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারেনা।পারিবারিক বিবাদ বলে আই সি কে ক্লিন চিট দেওয়া হচ্ছে।
হাইকোর্টে থেকে ডিভিশন বেঞ্চ প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের যাওয়া হবে তবু তপন কান্দু হত্যাকান্ড নিয়ে সি বি আই তদন্তের দাবি থেকে পিছিয়ে আসা হবে না বলে জানিয়ে দেন নেপাল মাহাতো। আই সি কে পুলিশ ক্লিনচিট দিলেও সি বি আই তদন্তের দাবিতে অনড় তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুও।