দিল্লি – সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারী ও আধিকারিক নিয়োগে এবার OBC, দিব্যাঙ্গ, প্রাক্তন সৈনিক এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীর নির্ভরশীলরাও সংরক্ষণ পাবে। এজন্য সুপ্রিম কোর্ট অফিসার্স অ্যান্ড সার্ভেন্টস রুলস, ১৯৬১-এ প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারের সময় সময়ে জারি করা নিয়ম, আদেশ ও বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেবে। তবে এর পাশাপাশি ভোটার তালিকা সংক্রান্ত নতুন নিয়মের কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কঠোর নথি জমা দিতে হবে, যা সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে দাবি করা হচ্ছে।
অধিকার সংস্থাগুলো, বিশেষ করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর), এই আদেশ বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তাদের মতে, এই কঠোর নিয়মে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে, যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অধিকারকে প্রভাবিত করবে। এডিআর আরও অভিযোগ করেছে, নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কঠোর কাগজপত্র চেয়েছে কিন্তু পর্যাপ্ত সময় ও সুবিধা দেয়নি, ফলে দরিদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আধার কার্ড, রেশন কার্ডের মতো সহজ পরিচয়পত্র গ্রহণ না করার কারণে বহু প্রকৃত ভোটার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়ায় শুধু নিজেই নয়, বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতেও বাধ্য করা হচ্ছে, যা সংবিধানের পরিপন্থী। এছাড়াও, বিহারের মতো রাজ্যে নির্বাচনের আগে এ ধরনের পুনর্বিবেচনা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো জনগোষ্ঠীর হাতে প্রয়োজনীয় নথি না থাকার কারণে তারা ভোটাধিকার হারাতে পারেন। এডিআর অনুমান করছে, এই নিয়মের কারণে প্রায় ৩ কোটি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ ভোট থেকে বঞ্চিত হতে পারেন, যা গণতন্ত্রের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
