১৯ অক্টোবর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বাবুল। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, মানুষের জন্য মমতা দিদির নেতৃত্বে কাজ করতে পারলে ভালোই হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গ টেনে বাবুল খোঁচা দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাঙালিদের উপর ভরসা করছেন না। ৭ বছরে বাংলা থেকে কাউকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী করা হয়নি। শুধু আমার কথা বলছি না, আলুওয়ালিয়া অনেক সিনিয়র মানুষ। তাঁকে ইন্ডিপেনডেন্ট চার্জ দেওয়া হয়নি। কোথাও একটা অসামঞ্জস্য আছে।
তবে বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেই শিরোনামে আসবে আসানসোল। কারণ এই এলাকাটি ২০১৪ ও ২০১৯ সালে জিতেছে বিজেপি। দুবারই বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বাবুল। এবার তিনি তৃণমূল শিবিরে। ফলে বিজেপি এবার এই আসনে কাকে প্রার্থী করে, সেই দিক রয়েছে নজর। আবার তৃণমূল থেকে কে প্রার্থী হন, সেই দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
লোকসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, বাবুলকে সকাল ১১টায় সময় দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। এর আগে একাধিক বার চিঠি লিখে স্পিকারের সময় চেয়েছিলেন বাবুল। কিন্তু তখন তাঁকে স্পিকার সময় দেননি। রবিবার লোকসভা সচিবালয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে বাবুলকে সময় দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বাবুল মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন।
আর ও পড়ুন বিছানায় বয়ফ্রেন্ড অকারণ প্রবল জোরে চিৎকার করলেন, তারপর……
বাবুল আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি যাদের টিকিটে নির্বাচিত, সেই দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে পুরনো দলের সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখা ‘অনৈতিক’ কাজ হবে। যদিও বাংলায় তেমন কিছু দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখন দেখার যে, সাংসদ পদ থেকে বাবুল ইস্তফা দিলে কবে আসানসোলে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেন।
তখনই তিনি বলেছিলেন সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তার পরেও তাঁকে করতে দেখা যায়নি। তখনই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, স্পিকার তাঁকে সময় দিচ্ছেন না। তবে এবার শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবারই খুব সম্ভবত ইস্তফা দেবেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিলেও বিষয়টি তেমন গুরুত্ব নারাজ বিজেপি। তবে ইতিমধ্যে আসানসোলের উপ নির্বাচনের প্রস্তূতি শুরু হয়ে গিয়েছে দলের।
বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফআ দিলে উপনির্বাচন হবে ওই কেন্দ্রে। আসানসোলের দলীয় নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যাওয়ায় বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না, বরং লাভ হবে। যাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন তাঁরা আদর্শ নিয়ে রয়েছেন। কাটমানি যাঁদের উদ্দেশ্য তারা তৃণমূল করবেন,