ঘরে নিদারুণ অভাব, তবুও সুব্রত কাপ জিততে মরিয়া বুধু সরেন, জিৎ সরেনরা

ঘরে নিদারুণ অভাব, তবুও সুব্রত কাপ জিততে মরিয়া বুধু সরেন, জিৎ সরেনরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ঘরে নিদারুণ অভাব, তবুও সুব্রত কাপ জিততে মরিয়া বুধু সরেন, জিৎ সরেনরা। ঘরে রয়েছে নিদারুণ অভাব। নিয়মিত জোটে না পুষ্টিকর খাবার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর নির্মম সত্য খেলোয়াড়দের প্রতিটি ঘরের দেওয়ালে। কান পাতলে আজও শোনা যায়, দুবেলা পেট ভরে ভাতের ক্ষুধার সাথে লড়াই করার বাস্তবতা। সেসব কিছুকে সরিয়ে রেখে, রাজ্য স্তরের অনুর্ধ ১৪ সুব্রত কাপে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে এদিন দিল্লির পথে পা বাড়ালো কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কুনোর কে সি হাই স্কুলের খুদে ফুটবলারদের দল।

 

তার আগে এদিন শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেওয়া হয় ওই স্কুলের ফুটবলারদের। এই খেলা ঘিরে এখন চরম উত্তেজনা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ কুমার সরকার জানান, ২০১৯ সালে ক্লাষ্টার পর্যায়ে জিতে রাজ্যস্তরের সেমিফাইনালে আমরা অংশ নিই। কিন্তু ফাইনালে আমরা পরাজিত হই উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর হাই স্কুলের কাছে।

 

কিন্তু এবার ফাইনালে জিতে দিল্লিতে খেলতে চলেছি। আগামীকাল দুপুরে দিল্লি পৌঁছালে, আগামী ৫ তারিখ মেডিকেল টেষ্ট ও ৬ তারিখ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন হবে। এরপর লিগ পর্যায়ের খেলা শেষে নকআউট পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আমার ছাত্ররা প্রস্তুত, এখন শুধু ভালো খেলার অপেক্ষা। এদিনের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন এম এল এ তথা স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তপন দেবসিংহ। তিনি বলেন, সকলকে শুভেচ্ছা রইলো। আমাদের এই গ্রামের ফুটবলারদের অনেক সমস্যা রয়েছে। তবুও জেতার জিদটা আমাদের অস্ত্র, সেটাকেই ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন – বাংলার দূর্গা পূজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সন্মান জানিয়ে শোভাযাত্রা শহর জলপাইগুড়িতে

তিনি ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ কুমার সরকার সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বুধু সরেন, জিৎ সরেন, রাজেশ রায়ের মত খুদে ফুটবলাররা বলেন, দল জিতলে আমাদের নাম হবে। তখন হয়ত কিছু সহয়তা পাবো। তা দিয়েই পরিবারের সদস্যদের পেটে কিছুদিন খাবার জোগাড় হবে। বাকিটা দিয়ে খেলার জন্য সরঞ্জাম কিনতে পারব। এদিন স্থানীয় কুনোর অমর সংঘ পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুটবল দলটিকে ২০০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে এদিন গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে চাপা উত্তেজনা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top