জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সূর্যকুমার যাদবের পর পর দুই ছয় এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির পর পর দুই ছয় এখন ইতিহাস। চর্চায়ও কেন্দ্রীয় আকর্ষণ। বিশ্বের খ্যাতনামা প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তাই নিয়ে আলোচনায় মগ্ন। তেমনি একজন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি মজে আছেন কোহলিতে। আর এব ডিভিলিয়ার্স যিনি প্রথম ৩৬০ ডিগ্রী ক্রিকেটার তিনি সূর্যকে তিনশ ষাট ডিগ্রীর চেয়েও আরো বড় কিছু বলে বর্ণণা করেছেন।
ভারত এসব নিয়ে গর্ব করতেই পারে তবে ভারতের লক্ষ্য ফাইনালে পৌঁছনো ও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি যে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন।বাইশ গজে সেই ঘোর এখনও কাটেনি। কোহলি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, যে কেন এই ক্রিকেট গ্রহ ভালোবেসে তাঁকে ‘চেজমাস্টার’ তকমা উপহার দিয়েছে। পাক বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট শাসন করে কোহলি তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
৯৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫৩ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। তা ইতিহাসে লেখা থাকবেই। আর ওই ম্যাচেই কোহলি পাক পেসার হ্যারিস রউফকে দু’টি অসাধারণ ছয় মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই জোড়া ছক্কায় মজে আছেন অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং। অজি কিংবদন্তি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিরাটের ওই শটগুলি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হবে এবং মনে রাখা হবে। আমি বলব না সাদা বলের ক্রিকেটে ইতিহাস লিখে দিয়েছে।
তবে অবশ্যই টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে তো বটেই। ওরা আগেই হিসাব কষে নিয়েছিল যে, শেষ ওভার স্পিনারই করবে। ফলে ১৯ ওভারের শেষ দু’টি বল হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওরা জানত দু’টি চার আসলেই খেলা শেষ। অতীতেও তাই হয়েছে। বিরাট ঠিকই করে নিয়েছিল যে, ও শেষ করেই আসবে। ওর সুইংয়ের সঙ্গে বলের লেন্থ মানানসই ছিল না। কিন্তু ও এতটাই ভালো যে, শেপে থেকে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে বাউন্ডারির ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিল। আমি শটগুলো দেখেছি। ঠিক ব্যাকফুটেও খেলেনি। ব্যাকফুট লেন্থে বল ছিল।
আরও পড়ুন – বাংলা ভাগের চক্রান্তের বিরোধিতা করলেন অভিনেতা মীর
ওর ফুটওয়ার্ক এতটাই নিরপেক্ষ যে, ও খেলে দিল। বলের বাউন্সটা বুঝে যে খেলাটা খেলেছিল, তাতে শক্তির সঙ্গে লাগে বিশেষ দক্ষতা। সব শক্তিই ওর ভিতর থেকে এসেছিল। মজবুত ভিতের ওপর শক্তির সাহায্যে ওরকম শট নেওয়া যায়। ও অত্য়ন্ত ফিট। ভিতরের শক্তিতে অনেক প্লেয়ারই মজবুত। কিন্তু এমনটা পারবে না। কেউ কেউ আছে, যারা পারে।
তাদের মধ্যে বিরাট একজন।’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ৮ বলে ২৮ রান দরকার ছিল ভারতের। সেই সময় কোহলি ওই খেলা না খেললে, ভারতের পক্ষে জেতা সম্ভব হত না ম্যাচ। ওই পরিস্থিতিতে ব্যাক-টু-ব্যাক ছক্কা মারলেন বিরাট। তাও ওই ম্যাচে পাকিস্তানের সেরা বোলার হ্যারিসকেই। আর এই দুইছয়ের পর মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্বে তার চর্চার খামতি নেই। সূর্যকুমার যাদবের