সৃজনশীল সাহিত্যের শূন্যতা নিরসনে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক সাহিত্য সমাবেশ ও সেমিনার। তথ্য প্রযুক্তির যুগে বর্তমান ছাত্রসমাজ সাহিত্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে কিশোর কিশোরীরা।সুকুমার, শরৎচন্দ্র ও বঙ্কিমচন্দ্রের মতো স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের নাম ভুলতে বসেছে বর্তমানে পাঠকের একাংশ।
লাইব্রেরী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ছাত্রসমাজ। তাই বর্তমান সমাজে সাহিত্যের গুরুত্বের কথা ভেবে ‘সৃজনশীল সাহিত্যের শূন্যতা নিরসনে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ বিষয় নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর অঞ্চলের ডাহুয়া এলাকায় এক বেসরকারি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো সাহিত্য সমাবেশ ও সেমিনার।
এম ওয়াহেদুর রহমান সম্পাদিত সাহিত্য ও গবেষণামূলক পত্রিকা ‘বাহন’ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এই সাহিত্য সমাবেশ ও সেমিনার বলে জানা যায়। এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন মুর্শিদাবাদ আর্দশ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিষ্ণুদেব দাস। এদিন ‘সৃজনশীল সাহিত্যের শূন্যতা নিরসনে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা ‘নারী শক্তি’ পত্রিকার সম্পাদক এম এ হান্নান, দেওয়ান আব্দুল গনি কলেজের অধ্যাপক মুনিরুল ইসলাম, শিক্ষক ও সাংবাদিক মুরতুজ আলম, শিক্ষক ও সাংবাদিক ড.উমার ফারুক সহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন – থিম ও সাবেকিয়ানার মেল বন্ধনে নজর কাড়বে ডুয়ার্সের নেতাজী সংঘ
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এম এ হান্নান বলেন, “সাহিত্য ও সংবাদপত্র সমাজের পরিপূরক অংশ বিশেষ।সাংবাদিকরা যেমন সমাজের বুকে ঘটে যাওয়া খবর তুলে ধরেন তেমনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিও তুলে ধরতে পিছপা হয়না।অপরদিকে একজন সাহিত্যিকও আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু বর্তমানে এই সাহিত্য পাঠকের মনে তার অন্তর্নিহিত বার্তা পৌঁছাতে ব্যার্থ হচ্ছে। সাহিত্য অশ্লীলতায় ভরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সৃজনশীল সাহিত্যের শূন্যতাকে দূর করে সৃজনশীল, আর্দশ, রুচিশীল ও মননশীল সাহিত্য গড়ে তুলতে হবে বলে জানান এম এ হান্নান।