সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর ভয়ানক চেহারা পশ্চিম মেদিনীপুরে

সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর ভয়ানক চেহারা পশ্চিম মেদিনীপুরে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর ভয়ানক চেহারা পশ্চিম মেদিনীপুরে। ভয়ানক বৃদ্ধি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেঙ্গু সংক্রমণ। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৭০ জন সংক্রমিত হলেও, সেপ্টেম্বর মাসেই সংক্রমণ ১০৩ জনের। চরম উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি। তা দেখে সচেতনতা ও টেস্ট সমহারে বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জরুরী বৈঠকে বসলেন রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১৩০ জন। গত বছরের মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে এবছর ইতিমধ্যেই। ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ১৭০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ২০২১ সালে আগস্ট মাসে মাত্র ৮ জন সংক্রমিত ছিল।

 

এবছর আগস্ট মাসে ৪২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই জেলাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন উনিশ জন। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩ জন। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। একাধিক সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করার পরও বাড়ছে সংক্রমণ। এবছর প্রচুর পরিমাণে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে ডেঙ্গুর লার্ভা নিধনে। তাতেও ডেঙ্গু বৃদ্ধিতে লাগাম টানা যায়নি। টেস্ট এর পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে প্রচুর। ২০২১ সালে সারা বছরে ডেঙ্গুর টেস্ট হয়েছিল ৪২১৪ টি। ২০২২ সালে সেই টেস্ট ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ৬৫৫৩ জনের।

 

সবথেকে বেশি ডেঙ্গু সংক্রমিত এলাকা খড়গপুর পৌরসভা এলাকার দাসপুর ১ ও ২ ব্লক, দাসপুরের পলাশপাই গ্রাম পঞ্চায়েত সবথেকে হাইরিস্ক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। এরপরেও রয়েছে গড়বেতা ১ ব্লক, ঘাটাল ও ডেবরা। যেখানে সব থেকে বেশি ডেঙ্গুর সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯ জন, খড়্গপুরে একজন, ঘাটালে ১০ জন, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একজন, সব মিলিয়ে ২১জন চিকিৎসাধীন এই কয়েকটি হাসপাতালে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার এই বিষয়ক একটি ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তা ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে এই জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের।

 

তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্য শংকর সারেঙ্গী বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। মানুষকে আরও বেশি সাবধান ও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। টেস্টের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনের সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে’। অন্যদিকে, বিষয়টি বিদ্যালয়স্তরেও প্রচার করে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। নির্মল বিদ্যালয় পাক্ষিক অভিযানের মধ্য দিয়ে শুক্রবারও মেদিনীপুর সদরের জুয়ারহাটি এলাকাতে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করতে র্যা লি বের করেছিল জুয়ারহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। স্লোগান ও পোস্টার ব্যানার নিয়ে সচেতনতা প্রচার করে ছাত্রছাত্রীরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top