সীমান্তে উদ্ধার ৪৯ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট! সম্প্রতি, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছিল সোনার বিস্কুট।কিন্তু ধরা পড়ল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে। এ ক্ষেত্রে,উল্লেখ্য যে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালানকারীরা দারুন ভাবেই সক্রিয়। শুক্রবার রাতেও ৮৬ নম্বর ব্য়াটেলিয়নের সীমা চৌকি খড়কা বাহাদুর জওয়ানরা তেমনই এক ঘটনার সম্মুখীন হন। জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের আনাগোনার খবর এসে পৌঁছেছিল।
সেই মতো রাতে নিজ নিজ এলাকায় মোতায়েন ছিলেন জওয়ানরা। অন্যদকে,নির্ধারিত সেই সময়ই কাঁটাতারের ওপারে কয়েক জনের গতিবিধির খবর পাওয়া যায়। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই কাঁটাতারের ওপার থেকে ভারী ওজনের একটি জিনিস এদিকে ছুড়ে দেয় কিছু ছায়ামূর্তি। তাদের নাগাল পেতে ছুট লাগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
আরও পড়ুন – আগামী ১৪ দিন হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রায় ৪-৫ ঘন্টা বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল
কিন্তু ঘন ঝোপের আড়ালকে ঢাল করে পালিয়ে যায় সেই ছায়ামূর্তির দল। সূত্রের খবর,এর পরই কাঁটাতারের এ পারে কী এসে পড়েছে, তা খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই ভারী ওজনের একটি বান্ডিল উদ্ধার হয়। সেই খুলে দেখা যায়, তার মধ্যে রয়েছে আটটি সোনার বিস্কুট। সূত্রের খবর,বাংলাদেশ থেকে সেগুলি ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলে ধারণা বিএসএফ-এর। ভারতের বাজারে সেগুলির আনুমানিক মূল্য ৮৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৫ টাকা বলেও জানা গিয়েছে। এরপরই উদ্ধার হওয়া সেই আটটি সোনার বিস্কুট গুলি আইনি প্রক্রিয়ার জন্য করিমপুর শুল্ক দফতরে জমা দেয় বিএসএফ।
শুধু তাই নয়,৮৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ড্যান্ট সুরেন্দ্র কুমার জওয়ানদের সতর্কতা এবং তৎপরতার প্রশংসা করে জানান, “ভারতীয় জওয়ানরা সীমান্ত অপরাধ এবং পাচার প্রতিরোধ করতে সম্পূর্ণরূপে নির্ধারিত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এত বড় প্রাপ্তিতে জওয়ানদের পরিশ্রম এবং সততাই প্রমাণিত হয়েছে। এই ঘটনা জওয়ানদের মনোবল আরও বৃদ্ধি করবে।”